রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, বিদ্যুৎ সংযোগ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলতে থাকে কালবৈশাখীর তাণ্ডব।
প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা সড়কে পড়ে বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল ৪টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিভিন্ন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ব্যস্ত বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তাও জানাতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ রাঙ্গুনিয়া জোনাল অফিসের এজিএম ওএন্ডএম খালেদ মাসুদ মজুমদার জানান, ভোর থেকেই তীব্র ঝড় ও বাতাসে বৈদ্যুতিক তারে গাছের ঢালপালা ভেঙে পড়েছে। এছাড়া একাধিক স্পটে ফল্ট দেখা দিয়েছে। সকাল থেকেই এসব সনাক্ত করে ঠিক করা হচ্ছে। এরমধ্যে কয়েকবার বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও ফল্টের কারণে লাইন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। ফল্ট সনাক্তের চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করছি।
ভোর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহে বন্ধে বেকায়দায় পড়েছেন স্থানীয়রা। পৌরসভায় স্মার্টকার্ড বিতরণেও প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তবে জেনেরেটর চালিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হলেও দৃঢ়গতির নেট এবং বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি ছিল চোখে পড়ার মতো।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নে একটি বসতঘরে গাছ উপড়ে পড়লে ঘরের সামান্য ক্ষতি হলেও কোন হতাহত হয়নি। চন্দ্রঘোনা এলাকায় সড়কে গাছ উপড়ে পড়ে কিছু সময় যান চলাচল ব্যাহত হয়। তবে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে গাছগুলো সরিয়ে নিয়েছে।