লোহাগাড়ায় আধুনগর হরিণা সড়কে কার্পেটিং উঠে ছোট–বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে পাকা সড়কটি কাঁচা সড়কের মত ধূলোয় ভরে উঠেছে। ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
উপজেলা এলডিজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়কটি আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পুটিবিলা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত বিস্তৃত। সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার। উক্ত সড়কটি তিনভাগে বিভক্ত করে বিভিন্ন সময়ে সংস্কার কাজের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে একটি অংশের কাজ সমাপ্ত করতে পারেও ২টি অংশে কার্পেটিং কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার। উক্ত সড়কে ২০২২–২৩ অর্থবছরে ১৩শ মিটার সংস্কার কাজ পান স্কেপ বাংলাদেশ লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাজেট ছিল ৭১ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ২ মে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। নির্দিষ্ট সময়ে পরে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রায় এক বছর আগে উক্ত প্রকল্প বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, একই সড়কে ২০২১– ২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৫ মিটার সংস্কার কাজ পান লোহাগাড়া বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার বাজেট ছিল ৯০ লাখ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে না পারায় ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর উক্ত প্রকল্প বাতিলের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন উপজেলা এলজিইডি অফিস।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, আধুনগর হরিণা সড়ক চট্টগ্রাম–কঙবাজার মহাসড়কস্থ উপজেলার আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হয়েছে।
সড়কের শুরু থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত সিংহাভাগ কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট–বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দুপাশে মাটি সরে যাচ্ছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, টেঙি, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কে এসব গাড়ি হেলেদুলে চলতে দেখা গেছে। বৃষ্টি হলেই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, ২ বছর আগে সড়কটির প্রথমাংশ টেন্ডার হয়েছিল। সেই অনুযায়ী সড়কের দুই পাশে কাজও করা হয়েছিল।
কিছু সংস্কার করার পর ঢালাই না দিয়ে ফেলে রাখায় সড়কের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। তার আগেও টেন্ডার হয়েছিল দ্বিতীয় অংশের। কিন্তু সেই কাজও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। পুরো সড়কই এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইফরাদ বিন মুনির জানান, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দুই ঠিকাদারই সড়কের সংস্কার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারেননি। এক পর্যায়ে তারা কাজ ফেলেই চলে গেছে। দুই ঠিকাদারের কাজ সমন্বয় করে পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করা হবে। আশা করছি শীঘ্রই উক্ত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে।