প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকদের কমপক্ষে পাঁচটি ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রতিটি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করবার অধিকার রয়েছে। শ্রমিকরা কমপক্ষে পাঁচটি ট্রেড ইউনিয়ন করতে পারবেন। পরে সিবিএ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধিরা সরকারের সঙ্গে শ্রমিকদের সুযোগ–সুবিধা নিয়ে আলাপ করবে। গতকাল শনিবার বিকালে সাভার পৌর এলাকার গেণ্ডা বালু মাঠে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে জুলাই পুনর্জাগরণ পালন উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
কোনো শ্রমিককে কারখানার মালিক কালো তালিকাভুক্ত করতে পারবেন না, সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর অনেক কারখানা মালিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। মাসের পর মাস বিদেশে থাকলে, টাকা কোথা থেকে দিবে। কারখানা দেখিয়ে দেশের ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে তারা চলে গেছেন। তারা শ্রমিকদের কথা চিন্তাও করেনি; যা এখন সরকারকে চিন্তা করতে হচ্ছে।
বন্ধ কারখানা চালুর বিষয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, যেসব কারখানা বন্ধ হয়েছে বা খারাপ অবস্থায় আছে সেগুলো বিজিএমইএয়ের সদস্য। তাদেরকে বলতে হবে, বিজিএমইএ কী করবে। এতো দিন বিজিএমইএ ছিল না। এ জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় এটার সঙ্গে জড়িত ছিল। যেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, সেগুলো পরিচালনা করার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেমন– বেক্সিমকো পরিচালনার জন্য বিদেশি কিছু সংস্থা বাংলাদেশে আছে। এর মধ্যে তারা হয়ত আলোচনা করে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তারা যদি অনুকূলে থাকে, তবে কারখানাটি পরিচালনা করবে।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদসহ স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।