কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদনে সব বাধা দূর করা হবে

পরিদর্শনকালে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ।। ‘হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি’

রাঙামাটি প্রতিনিধি | রবিবার , ১ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই হ্রদের ঐতিহ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদনে যেসব বাধা রয়েছে তা দূর করা হবে। মা মাছ ও ছোট মাছ ধ্বংসে যেসব জাল ব্যবহার করা হয়, সেসব জাল ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান কঠোর। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদকে মৎস্য ভাণ্ডারে পরিণত করতে কাজ চলছে। গতকাল শনিবার দুপুরে রাঙামাটিতে রাঙামাটি বিএফডিসি ও বিএফআরআই এবং মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, রাঙামাটি বিএফডিসি ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান। পরিদর্শন শেষে রাঙামাটি মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক বৈঠকে কাপ্তাই হ্রদের গবেষণা পর্যালোচনার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, কাপ্তাই হ্রদে এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক মৎস্য উৎপাদন হয়েছে এবং এটাকে আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়গুলো সরজমিনে দেখে পরিকল্পিতভাবে আরো উন্নত সমৃদ্ধ করে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে।
এদিকে রাউজান প্রতিনিধি জানান, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী পরিদর্শন করেছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পাদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গত শুক্রবার সকালে তিনি চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট থেকে স্পিড বোট যোগে এসে নামেন হালদার সর্তার ঘাটে। এখানে মন্ত্রী হালদা পাড়ের মানুষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারজানা লাভলী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহামুদ, ডিজি কাজী শামস আফোজ, রাউজান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির সোহাগ, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন, ইউপি চেয়ারম্যান (হাটহাজারী) সরওয়ার মোরশেদ, মোহাম্মাদ মাসুদ।
মতবিনিময়ে মন্ত্রী বলেন, হালদা নদী জাতীয় সম্পদ, হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি হালদা পাড়ের বাসিন্দা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে গত বৎসর ডিম ছাড়ার মৌসুমে গত কয়েক বৎসরের রের্কডের তুলনায় বেশী পরিমাণ ডিম ছাড়ার পেছনে রাউজান হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন, রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী ও হালদা পাড়ের বাসিন্দাদের পরিশ্রমের ফসল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত ৩ নভেম্বর
পরবর্তী নিবন্ধমসজিদুল হারামের দরজায় ধাক্কা দিল দ্রুত গতির গাড়ি