রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় আরও ২৩ দিন বর্ধিত করে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে করে আগামী ১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদ থেকে মাছ আহরণ শুরু করবেন জেলেরা।
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাশ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট রাঙামাটি নদী–উপকেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইসতিয়াক হায়দারসহ মৎস্য ব্যবসায়ী ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. আশরাফুল আলম ভূঁইয়া বলেন, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, ব্যবসায়ী ও জেলেদের চাহিদা এবং তাদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে লেকে মাছ শিকার শুরু করা যাবে।
রাঙামাটির জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, রাঙামাটির ব্যবসায়ীরাও এটির সঙ্গে জড়িত। এটা ঠিক যে, দীর্ঘদিন মাছ শিকার বন্ধ থাকায় এখানকার ভোক্তারা প্রাণিজ ও আমিষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্তু সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই সময় আরও কিছুটা বাড়িয়ে ১ সেপ্টেম্বর হ্রদ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এসময় হ্রদের সকল প্রকার মাছ বাজারজাতকরণ ও স্থানীয় বরফকলগুলোও বন্ধ থাকে।