কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দুদিন ধরে ছাড়া হচ্ছে বাঁধের পানি

রাঙামাটি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৭ আগস্ট, ২০২৪ at ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির কারণে রাঙামাটি জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হ্রদের পানি না কমা পর্যন্ত নিম্নাঞ্চলের পানি নামার সম্ভাবনা নেই। জেলাজুড়ে ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমির। পানির নিচে তলিয়ে আছে কৃষি জমি।

গত রোববার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা বিরতির পর আবারও রাঙামাটির কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়া অব্যাহত রয়েছে। রোববার সকাল ৮টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার পর দুপুর ২টায় বন্ধ রাখা হয়। বিকেলে হ্রদে পানিপ্রবাহ বাড়ায় ফের সন্ধ্যা ৭টা থেকে চার ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়। গতকাল সোমবার সকাল থেকে আবারও ছয় ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছে। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) এটিএম আব্দুজ্জাহের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (কন্ট্রোল রুম) সূত্র জানিয়েছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮ দশমিক ৮৮ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। হ্রদে সর্বোচ্চ পানির ধারণা সক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছেছে। এছাড়া পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৩২৩৩ হাজার কিউসেক পানি যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। বাঁধ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচ ইউনিটের টারবাইন দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪০ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে বেরুচ্ছে।

এদিকে, কাপ্তাই বাঁধ দিয়ে গত রোববার সকাল থেকে পানি ছাড়া হলেও কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর আশপাশের এলাকায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্লাবনের আশঙ্কা থেকে চন্দ্রঘোনা ফেরি বন্ধ রাখা হলেও গতকাল থেকে ফেরি চলাচল অব্যাহত আছে।

রোববার বরকল উপজেলা থেকে ঘুরে আসা উন্নয়ন কর্মী সুশীল প্রসাদ চাকমা জানান, বরকল উপজেলায় মানুষের অবস্থা ভালো নয়। সেখানে যারা নদীর পাড়ে বাগান ও বিভিন্ন ফসল ফলিয়েছেন তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। পানির নিচে ফসল নিমজ্জিত হয়ে আছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে বন্যাদুর্গত এলাকায় সেনাবাহিনীর মেডিকেল ক্যাম্প
পরবর্তী নিবন্ধরাজস্থলীতে ইউপি চেয়ারম্যান নিখোঁজ, থানায় জিডি