চলছে শুষ্ক মৌসুম। বৃষ্টির দেখা নেই অনেকদিন। বৃষ্টি না থাকায় পাহাড়ি ঝর্ণা থেকেও নামছে না পানির প্রবাহ। যে কারণে বিশাল কাপ্তাই লেকে পানির স্তর দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর ফলে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও কমছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী এই মুহূর্তে কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৯৩.৭০ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু এখন লেকে পানি রয়েছে ৯০.২০ ফুট এমএসএল। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত লেকে প্রতিনিয়ত পানির স্তর কমতে থাকবে। পানি কম থাকায় বর্তমানে একটি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রাখা হয়েছে যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৪৫ মেগাওয়াট। এর পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, পাহাড়ি এলাকা হলেও কাপ্তাই ও রাঙামাটিতে সাধারণত মার্চ মাসে বৃষ্টিপাত হয় না। বৃষ্টি না হওয়ায় লেকে পানির স্তর দিন দিন কমছে। ভারতে অবস্থিত আসামের লুসাই পাহাড়েও এখন বৃষ্টি হচ্ছে না। সেখানে বৃষ্টি হলে কাপ্তাই লেকে এসে পানি জমা হয়। আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সেখানে বৃষ্টিপাত হবে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি সূত্র জানায়, পানির স্তর কমলেও কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সীমিত পরিসরে হলেও যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা যায় সেই কারণে আপাতত একটি ইউনিট চালু রাখা হয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুম হলেও যেকোনো মুহূর্তে পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক হবে। অতীতে এরকম বৃষ্টিপাত অনেকবার হয়েছে।