কাপ্তাই বিদ্যুৎ ভবনে বন্য হাতির দল

বাসিন্দারা আতঙ্কে

কাপ্তাই প্রতিনিধি | বুধবার , ৩ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অতিথিশালা ‘বিদ্যুৎ ভবন’ এর সামনে এবার বন্য হাতির দল অবস্থান নিয়েছে। বিদ্যুৎ ভবনের একেবারে সামনে হাতির দল অবস্থান নেওয়ায় বিদ্যুৎ ভবনে অবস্থানরত অতিথিবৃন্দ এবং কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। বন্য হাতির ভয়ে সাধারণ লোকজন কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় বসবাস করতেও রীতিমত ভয় পাচ্ছেন।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বিদ্যুৎ ভবনের সামনে বন্য হাতি এসে পড়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২ এপ্রিল ভোর রাত থেকে বন্য হাতির দল বিদ্যুৎ ভবনের কাছে এসে অবস্থান নেয়। হঠাৎ বন্য হাতির উপস্থিতি দেখে বিদ্যুৎ ভবনে দায়িত্বপালনরত পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা পর্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) শাখাওয়াত কবির বলেন, মাত্র তিন দিন আগে (গত ২৯ এপ্রিল) বন্য হাতির দল কাপ্তাই প্রজেক্টে এসে আনসার ব্যারাক ভাংচুর করে। গতকাল আবার বন্য হাতির দল একেবারে বিদ্যুৎ ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেয়। এর ফলে কাপ্তাই প্রজেক্টে অবস্থানরত সবাই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ প্রয়োজন হলেও সন্ধ্যার পর পারতপক্ষে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

কাপ্তাই দমকল বাহিনীর স্টেশন অফিসার শাহাদাৎ হোসেন আজাদীকে বলেন, গত ২৯ মার্চ কাপ্তাই প্রজেক্টের আনসার ব্যারাকে বন্য হাতি তাণ্ডব চালায়। দমকল বাহিনীর সদস্যরা বিকট শব্দে হুঁইসেল বাজিয়ে এবং নানাবিধ কৌশলে সেদিন বন্য হাতির দলকে গভীর জঙ্গলে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল। গতকাল আবার বন্য হাতির দল বিদ্যুৎ ভবনে আসে। দমকল বাহিনী স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় নানা কৌশলে বন্য হাতিদের তাড়া করে বনে নিয়ে যায়। তবে এভাবে সবসময় বন্য হাতিকে তাড়ানো সম্ভব নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে বন্য হাতির দল আবারো কাপ্তাই প্রজেক্টে আসতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করছেন।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বন্য হাতি অনেকটা বাধ্য হয়ে লোকালয়ে এসে পড়ছে। কেননা বন জঙ্গলে এখন হাতি প্রয়োজনীয় খাবার পাচ্ছে না। বন জঙ্গল বলতে গেলে এখন তেমন কিছুই নেই। মূলত, বন্য হাতি খাবারের সন্ধ্যানে বন জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে বলেও তিনি জানান। বনে পর্যাপ্ত খাবার পেলে বন্য হাতি আর লোকালয়ে আসবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার দক্ষিণ চট্টগ্রামে ঈদযাত্রা কেমন হবে
পরবর্তী নিবন্ধআধুনিক কসাইখানার প্রক্রিয়া আরেক ধাপ এগোল