কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে ২টি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে। অবশিষ্ট ৩টি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। ২টি ইউনিট থেকে বর্তমানে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। সচল ইউনিট দুটির মধ্যে ২ এবং ৩ নম্বর ইউনিট দুটি থেকে বর্তমানে ৩৫ মেগাওয়াট হারে মোট ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আবদুজ্জাহের কাপ্তাই লেকে পানি স্বল্পতার কথা স্বীকার করে গতকাল শনিবার বলেন, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে এই মুহুর্তে ৮৬.৪৮ ফুট মীন সি লেভেল (এম এস এল) পানি থাকার কথা। কিন্তু লেকে এখন পানি রয়েছে ৮০ ফুট এম এস এল পানি। লেকে পানি কম থাকায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব গুলো ইউনিট একযোগে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে লেকের পানি হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি টানা লম্বা খরার কারণেও লেকের পানি দিনদিন কমে যাচ্ছে। তাছাড়া কাপ্তাই লেক তীরবর্তী বসবাসকারী হাজার হাজার পরিবার মোটরের সাহায্যে লেক থেকে পানি তুলছেন। এছাড়াও সেচ কাজে ব্যবহারের জন্যও বিপুল পরিমাণ লেকের পানি ব্যবহৃত হচ্ছে। এত বেশি ব্যবহারের ফলে প্রতিনিয়ত লেকের পানি হ্রাস পাচ্ছে। অথচ কোন উৎস থেকে লেকে এক ফোটা পানিও জমা হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরেকটি ইউনিটও বন্ধ করে দিতে হতে পারে বলেও কন্ট্রোল রুম আশঙ্কা প্রকাশ করে।
বৃষ্টি ব্যতিত কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা নেই। অন্যান্য বছর মার্চ এপ্রিল মাসে একাধিকবার হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতো। কিন্তু চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।