কাপ্তাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডা বসছে। বিশেষ করে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাস্তার পাশে, বিভিন্ন মোড়ে, চায়ের দোকানে কিশোররা দলে দলে বসে আড্ডায় সময় কাটাচ্ছে। উপজেলার বরইছড়ি, শিলছড়ি, ফরেস্ট কলোনি, বারোঘোনীয়া আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, চিৎমরম ঘাট, কৃষি ফার্ম এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কিশোরদের আড্ডায় সময় কাটাতে দেখা যায়। এই কিশোরদের প্রায় সবার হাতেই থাকে দামী মোবাইল ফোন। এর ফলে কিশোররা অপরাধ প্রবণতায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কাপ্তাই থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন কিশোরদের মোড়ে মোড়ে বসে আড্ডা দেবার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি কিশোরদের আড্ডায় সময় কাটাতে দিচ্ছেন না বলে জানান। বিকালে বা সন্ধ্যার পরে কোন কিশোর বা ছাত্রছাত্রী অযথা রাস্তার ধারে বসে আড্ডা দিচ্ছে এমন খবর পেলে তিনি তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়ে কিশোরদের যার যার ঘরে পাঠিয়ে দেন বলে জানান। চন্দ্রঘোনাস্থ কে আরসি স্কুলের সামনে একাধিকবার পুলিশ পাঠিয়ে কিশোরদের আড্ডা থেকে উঠয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
কাপ্তাই মানবাধিকার কমিশনের মহিলা সম্পাদিকা নুর বেগম মিতা বলেন, পরিবারের অসচেতনার কারণেই কিশোররা আড্ডা দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। পরিবার থেকে যদি কিশোরদের কঠোরভাবে নজরদারিতে রাখা যায় তাহলে এভাবে কিশোররা আড্ডা দিতে পারতো না বলেও তিনি অভিমতে জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাদির আহমদ বলেন, বর্তমানে স্কুল কলেজ বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিশোররা হাঁফিয়ে উঠছে। কিশোররা যাতে আড্ডায় সময় না কাটায় সে জন্য অনেক মা বাবাই ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু অসচেতন পরিবারের সন্তানরাই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক নিয়মে স্কুল কলেজ খুললে কিশোর গ্যাংয়ের আড্ডা কমে যাবে। তবে বর্তমানে কিশোররা যাতে অযথা মোবাইল হাতে আড্ডায় সময় কাটাতে না পারে সে জন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।