কাপ্তাইয়ে এপ্রিলে ৪২ লাখ টাকার কাঠ জব্দ

কাপ্তাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৬ মে, ২০২১ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

কাপ্তাইয়ে গত এপ্রিল মাসে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৫শ ৬১ ঘনফুট সেগুন ও গামারি গোল কাঠ জব্দ করেছে বিজিবি। এসব কাঠের মূল্য প্রায় ৪২ লাখ টাকা। ৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ কাঠ জব্দ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব অনুমতি ছাড়া কাপ্তাই থেকে সব ধরনের কাঠ পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। একই সময় অনুমতি ছাড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কাঠ কাটার প্রতিও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বন সন্ত্রাসীরা নিষেধাজ্ঞা না মেনে অবৈধ উপায়ে সংরক্ষিত বনের কাঠ কাটার সুযোগ খোঁজে। সুযোগমত গভীর জঙ্গলের ভেতরে সংরক্ষিত বনের কাঠ কাটে। তারপর এসব কাঠ সাইজ করে চোরাই পথে পাচারের চেষ্টা চালায়। চোরাই কাঠ পাচারের জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। কখনো কর্ণফুলী নদীর তল দেশ দিয়ে, কখনো বাঁশের ভেলার নিচ দিয়ে পানিতে ভাসিয়ে, কখনো কাঠের ভূঁষির নিচে করে, কখনো খড়ের গাদার নিচে রেখে কাঠ পাচারের প্রচেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। কিন্তু বিজিবির কঠোর নজরদারির কারণে পাচারের সময় প্রায় কাঠ জব্দ করা হয়।
তবে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক কাঠ উদ্ধারের পেছনে স্থানীয় জনগণেরও উল্লেখযোগ ভূমিকা রয়েছে বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে। সন্ত্রাসীরা যখনই বিভিন্ন পদ্ধতিতে কাঠ পাচারের চেষ্টা চালায় তখন বিষয়টি কোনা না কোনভাবে স্থানীয় জনগণের কারো না কারো চোখে পড়ে। আর ঘটনাটি দেখার সাথে সাথে গোপনে বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করে।
৪১ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংরক্ষিত বন সুরক্ষায় স্থানীয় জনগণ আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি সোচ্চার। স্থানীয়রা এখন বুঝতে পারছেন যে কাঠ চুরির বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করার সাথে সাথে বিজিবি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তাই বন বাঁচাতে স্থানীয় জনগণ বিজিবিকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা প্রদান করছে। স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সংরক্ষিত বন থেকে অবৈধ উপায়ে গাছ কাটা এবং চোরাই পথে কাঠ পাচার বন্ধ হয়ে যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহাদাতের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ
পরবর্তী নিবন্ধতানভীরকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন