গাজায় যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর ও কাতারের দেওয়া প্রস্তাব হামাস মেনে নিয়েছে বলে জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি এক বিবৃতিতে বলেছে, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধানকে তাদের প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রস্তাবটিতে কী আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এদিকে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর গতকাল গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ বাঁচাতে মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফায় আশ্রয় নিয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী এবার সেখানেও হামলা শুরু করলে প্রাণ বাঁচাতে রাফা থেকে অন্য আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে মানুষ। খবর বিডিনিউজের।
মিশর ও কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধরত ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছে ও মধ্যস্থতা করছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর পরিচালক উইলিয়াম বার্নস কায়রোতে গেছেন। মার্কিন এক কর্মকর্তা আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। এরপরই হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণের এই খবর এল।
আল–জাজিরাকে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মিশর–কাতারের যে প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে সেটিতে তিনটি ধাপের কথা বলা হয়েছে। এক একটি ধাপে সময় ধরা হয়েছে ৪২ দিন করে। প্রথম ধাপে একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং ইসরায়েল উত্তর ও দক্ষিণ গাজাকে বিভক্তকারী নেতজারিম করিডোর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। দ্বিতীয় ধাপে সামরিক অভিযান স্থায়ীভাবে বন্ধ করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহার হবে। আর তৃতীয় ধাপে থাকবে গাজায় অবরোধ তুলে নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদনের বিধান।
গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে। এরপরই হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে।