ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। এখন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার। বোয়ালখালীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও খুনি হিসেবে ভাড়ায় খাটেন তিনি। এলাকায় রয়েছে অবৈধ মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়েও জনসম্মুখে দাপিয়ে বেড়ানো যেন তার শখ। তার রয়েছে বিশাল নিজস্ব বাহিনীও।
এদের দিয়ে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করা নুরুল আবছার (৪০) স্থানীয়দের কাছে এএক মূর্তিমান আতংকের নাম। খুন, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০ মামলা রয়েছে তার নামে। একবার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে বারবার পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার সারোয়াতলী ইউনিয়নের বেংগুরা খিতাপচর এলাকায় বোয়ালখালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন নুরুল আবছার। আবছার বেংগুরা খিতাপচর গ্রামের মোল্লা বাড়ির মৃত আবদুল মোনাফের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর জুন মাসে খিতাপচর এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে আসছিল। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি বারবার গ্রেপ্তার এড়িয়ে আসছিলেন। তবে তিনি এলাকায় প্রকাশ্যে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন।
নিয়ন্ত্রণ করেছেন এলাকার মাদক সাম্রাজ্য। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর একটি অজ্ঞাত পরিচয়ে লাশ উদ্ধারের মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাকে একবার গ্রেপ্তার করে। পরে জামিনে বের হয়ে এসে নতুন উদ্যমে অপরাধের রাজ্য গড়ে তুলেন। আইনশৃঙ্খলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আবছার চট্টগ্রামের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রেকর্ডে রয়েছে। তিনি বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করেন। অবৈধ মাদক ও বিশাল অস্ত্র ব্যবসা তার পেশা। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরেও বেড়ান তিনি। তার গ্রেপ্তারে স্বস্তি ফিরলেও আতঙ্ক কাটেনি এলাকায়। কারণ তার বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডার ও বাহিনী এখনো অধরা রয়ে গেছে।
বোয়ালখালী থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশের অস্ত্র উদ্ধারের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বোয়ালখালীসহ বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বোয়ালখালী থানায় ৬টি ও পটিয়া থানায় রয়েছে তিনটি মামলা।