ঋতুচক্রে এখন বর্ষাকাল। ঝুম বৃষ্টিতে মুখর থাকার কথা ছিল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই। তার বদলে কড়া রোদ। চারদিকে তাপদাহ। প্রায় প্রতিদিন রেকর্ড হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রার। ফলে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে নগরবাসী। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি কম হওয়ায় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেছে। এতে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল নগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ দমশিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে গতকাল সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ এবং বিকালে ছিল ৭৫ শতাংশ। আর্দ্রতা বাড়লে গরমের সঙ্গে অস্বস্তিও লাগে। এ কারণে গতকাল সকালের চেয়ে বিকেলে বেশি গরম অনুভূত হয়েছে। তাছাড়া মৌসুমী বায়ু আসছে দক্ষিণ দিক থেকে। সেখানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরের অংশে তাপমাত্রা বেশি থাকে। এ কারণে ওই দিক থেকে বাতাস এলেও গরম থাকে। অর্থাৎ বাতাস থাকলেও গরম অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, উত্তর উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি ধরনের সক্রিয় রয়েছে। আজ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাষ কর্মকর্তা জানান, আজ নগরে আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সে সাথে কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে গতকাল দুপুরে সিআরবি এলাকায় দেখা গেছে, এক পাশে রিকশা রেখে গাছের ছায়ায় শুয়ে আছেন কয়েকজন রিকশা চালক। তীব্র গরমের কারণে রিকশা চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে।