রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় ছুরিকাঘাতে হিজড়া ‘লিডার’ শিলাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত তিন জনসহ গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শুক্রবার দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করার পর রাঙামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান পুনমের আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ বলেন, হিজড়া লিডার শীলা হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. আলাউদ্দিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই আমরা হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে তদন্ত ও অভিযান চালিয়ে আসছি। সন্দেহভাজনদের কয়েকদফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শিলার প্রতিবেশী এক হিজড়া ও তার প্রেমিকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার চার আসামির মধ্যে একজন হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১টি লোহার ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন শিলার কথিত প্রেমিক আরিফুল ইসলাম রনি, শিলার অধীনস্থ হিজড়া শারমিন আক্তার (রানা), শিলার বান্ধবী পুতুল ও শিলার অধীনস্থ হিজড়া শারমিন আক্তারের কথিত স্বামী শুক্কুর মাসুদ। এরমধ্যে শুক্কুর মাসুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি সাইফুল ইসলাম সোহাগ। গত সোমবার কাউখালী উপজেলায় ছুরিকাঘাত করে হিজড়া লিডার শিলাকে (৩৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার পিতা মো. আলাউদ্দিন। শিলা কাউখালী উপজেলায় বসবাস করলেও তার বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়।