কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ

বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

| সোমবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৪:৫০ পূর্বাহ্ণ

১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের একাংশ গতকাল রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন। এই কর্মসূচির আওতায় আজ সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অনুসারীরা গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন। কয়েকদিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তারা আন্দোলন করেছিলেন। পরে ১১তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন। খবর বিডিনিউজের।

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা গতকাল কর্মবিরতি পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন স্কুলটির শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম। তিনি বলেন, সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু। তবে আমরা বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। আশ্বাস অনুযায়ী আমাদের ১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।

নোয়াখালী সদর উপজেলার ত্রিপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক ও স্কুলটির শিক্ষক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আশ্বাস অনুযায়ী ৩ দফা দাবির মধ্যে ১১তম গ্রেডের প্রজ্ঞাপন জারি ও অন্যান্য দাবি বাস্তবায়নে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কমিটমেন্ট অনুযায়ী আপাতত ১১তম গ্রেডসহ ৩ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি চলবে।

গ্রেড ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের তিন দাবি পূরণে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করে গতকাল থেকে ক্লাসে ফিরেছেন প্রাথমিকের শিক্ষকদের বারোটি সংগঠনের মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের অনুসারীরা। এ মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহীনুর আল আমিন বলেন, আমরা তিন দিন লাগাতার কর্মবিরতি পালন শেষে রোববার থেকে ক্লাসে ফিরেছি। সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু, আমরা বাচ্চাদের জিম্মি করে কোনো কর্মসূচি নেব না।

ঢাকার কেরানিগঞ্জের বাঘাসুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন না বলে জানিয়েছেন স্কুলটির সহকারী শিক্ষক শাহীনুর আল আমিন। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ করে আমরা ১১ ডিসেম্বর থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে শুঁটকি উৎপাদনের ধুম
পরবর্তী নিবন্ধসাজেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিজিবির গাড়ি খাদে, আহত ২