উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা কর্ণফুলী টানেলের ভেতরে অগ্নি নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ২৮ অক্টোবর এই টানেল উদ্বোধনের কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এসে এর উদ্বোধন করবেন।
টানেল উদ্বোধনের আগে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা কিংবা কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে কীভাবে তা সামাল দেয়া হবে তা নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় মহড়া শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মহড়া চলে। এই মহড়ায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের প্রায় অর্ধশত সদস্য অংশ নেন। মহড়ায় অংশ নেয়া ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, মহড়ার সময় টানেলের ভিতরে পরীক্ষামূলকভাবে একটি গাড়িতে আগুন লাগানোর মহড়া হয়। সেটিকে কী করে বাইরে নিয়ে আসা হবে তাও মহড়ায় দেখানো হয়েছে। টানেলের ভেতরে কোনো গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হলে সেটিকে দ্রততম সরিয়ে আনার ব্যাপারটিও মহড়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। এতে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের ২৫ জন সদস্য এবং পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন বলেও তিনি জানান।
মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতুসচিব মনজুর হোসেনসহ টানেল কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম টানেল হচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের টানেলটি নদীর তলদেশের ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধনের পর ২৯ অক্টোবর থেকে টানেলটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে টানেলের সার্বিক কার্যক্রমের ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুই শতাংশ কাজ টানেলে যান চলাচলে কোনো ধরনের সমস্যা করবে না বলে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এসব কাজ টানেল চালু করার পর অনায়াসে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।