এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।গতকাল শনিবার কালুরঘাট–চাক্তাই চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সিডিএ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজ বিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। তিনি বলেন, সিডিএ চেয়ারম্যান সুন্দরভাবে প্রাচীন নগরী চট্টগ্রাম শহরকে সাজাতে চান। চট্টগ্রাম শুধুমাত্র বাংলাদেশের নয় বিশ্বের প্রাচীনতম বন্দর নগরী। তখন এই নগরীতে অসংখ্য মাঠ, পুকুর, হরেক রকমের গাছপালা ছিল। এখন এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে একটা কল্পনা থাকা দরকার এবং কল্পনাটি সুদূরপ্রসারী হওয়া উচিত। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সারাবিশ্বে গাছপালা নিধন চলছে। যার কারণে প্রকৃতি আমাদের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আমাদের চেয়ারম্যান প্রকৃতির কথা চিন্তা করেছেন বিধায় তিনি এই কর্ণফুলী নদী তীর ঘেঁষে নতুন ব্রিজ থেকে কালুরঘাটসহ নগরীর নানা প্রান্তে এক লক্ষ গাছ লাগানো উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়া নদীর পাড় দিয়ে তিনি রাস্তা, পার্ক ও ওয়াক ওয়ে করার পরিকল্পনা করছেন যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একটি বাসযোগ্য প্রাকৃতিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবে। তিনি স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ যারা উপস্থিত ছিলেন সকলকে প্রাকৃতিক বিষয়টি মাথায় নিয়ে সকল পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, আমি প্রাণ–প্রকৃতি সমৃদ্ধ একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে চাই। যেখানে নগরীর শিশুরা খেলতে পারবে, যুবক বৃদ্ধরা বিকালে প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটাহাটি করবে। নতুন ব্রিজ থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত এ সড়কের দুপাশে ফুল, ফল ও ঔষুধি গাছ লাগানো হবে। যেখানে নানা রঙের ফুল ফুটবে। আমরা পর্যায়ক্রমে এই এক লাখ গাছ আমাদের চলমান প্রকল্প এলাকায় লাগাবো। এছাড়া চট্টগ্রামকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে সকলে সহযোগিতা করবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিস্টেম এনালিস্ট মো. মোস্তফা জামালের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দিন শাহ, স্থপতি আশিক ইমরান, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস্, প্রকল্প পরিচালক রাজীব দাশ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান এবং সিডিএর কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।