কর্ণফুলীতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে বাবলুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ৫ নভেম্বর, ২০২৪ at ১১:২৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ৭ বছর আগের একটি হত্যা মামলার সাক্ষীদের প্রাইভেটকার চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

গত সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (৬ষ্ঠ আদালত) কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (৩১) নামের এক যুবক।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযোগটিকে সরাসরি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সিএমপি কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন কে আদেশ দেন।

আজ ৫ নভেম্বর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন। যার সি.আর ফৌজদারি অভিযোগে মামলা নং-১৬।

মামলার বাদি দেলোয়ার উপজেলার চরলক্ষ্যা (৬ নম্বর ওয়ার্ড) লাইল্যার বাপের বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে।

মামলায় অভিযুক্ত আসামিরা হলেন-চরলক্ষ্যা (৬ নম্বর ওয়ার্ড) গোয়ালপাড়া এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে ইমরান হোসেন বাবলু (৩৪), একই এলাকার রবিউল হোসেন (২৪), রেজাউল করিম (৫৫), মো. হাসান (৩০), মাঈনুল ইসলাম (৩৪) এবং নুরুল আলম খোকন (২৫)।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সাইদি আসামি ইমরান হোসেন বাবলু’র বিরুদ্ধে ৭ বছর আগে সংঘটিত একটি (কর্ণফুলী থানার ৩৭(৮)২০১৭) হত্যা মামলায় সাক্ষী ছিলেন আদালতে।

ওই মামলায় বাবলু বর্তমানে জামিনে রয়েছে। এসব ঘটনার রেশ ধরে গত ২২ অক্টোবর রাতে চরলক্ষ্যা ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার এটিএম হাসেশমের বাড়ির সামনে বাদী দেলোয়ার হোসেন সাইদি মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় আসামিরা প্রাইভেট কার দিয়ে চাপা দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন।

মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেন, ‘আমি বাবলু’র বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় গাড়ি চাপায় আমাকে হত্যা চেষ্টা করেন। উল্টো তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। ওই মামলায় একদিনের মধ্যে আমরা জামিন পায়। আমি এখন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। সুষ্ঠু বিচারের আশায়।’ অভিযুক্তদের ফোনে একাধিকবার কল করেও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘গাড়ি চাপা দিয়ে প্রাণে মারতে চাওয়ার অভিযোগ এনে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন এক যুবক। যা টিট ফর এজাহার হিসেবে গন্য করতে আদেশ ছিলো। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধআরকান আর্মি ২০ বাংলাদেশী জেলেকে ধরে নিয়ে গেলেন