চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে চালককে গাছের সঙ্গে বেঁধে সিএনজি ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় প্রধান দুই আসামিকে মামলা রুজুর ৫ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাশঁখালী থানাধীন বৈলছড়ি ইউনিয়নের (৪ নং ওয়ার্ড) পূর্ব বৈলছড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-বাঁশখালী উপজেলার চেচুরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে তারেক (৩০) এবং একই এলাকার মনির আহমদের ছেলে শাকিল (২৯)।
পুলিশ জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসামিরা বাঁশখালী চেচুরিয়া এস.কে.বি ক্লাবের সামনে থেকে মইজ্জ্যারটেক যাওয়া এবং ফের একই স্থানে আসার জন্য ১ হাজার টাকায় সিএনজি ভাড়া করেন।
পরে চালক তাদের দুজনকে কর্ণফুলীর মইজ্জ্যারটেক নিয়ে আসেন। তারপর আসামিরা জরুরি কাজের কথা বলে চালক কে আবাসিকের ভেতরে নিয়ে গিয়ে রশি দিয়ে হাত-পা এবং গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ব্যাপক মারধর করেন। সুযোগ বুঝে সিএনজি অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান দুই আসামি। তখন আনুমানিক রাত ৮টা বাজে।
এ ঘটনার পর গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য আসামিরা বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। পরে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে কর্ণফুলী থানার এসআই মোবারক হোসেন ও এসআই মিজানুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স গতরাতে বাঁশখালীর বৈলছড়ি এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। তবে ছিনতাইকৃত সিএনজি গাড়িটি উদ্ধার করতে পারেননি। তবে গাড়িটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে বলে তাঁরা জানান।
অটোরিকশা চালকের নাম মামুনুর রশীদ (২৮)। সে বাঁশখালী উপজেলার কাতারিয়া ইউনিয়নের (৫ নম্বর ওয়ার্ড) মানিক পাঠানের বাড়ির সুলতান আহমদের ছেলে।
এ ঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর ছিনতাই হওয়া সিএনজি অটোরিকশাটির মালিক বাঁশখালী উপজেলার মিজানুর রহমান (২৯) বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সিএমপির কর্ণফুলী থানায় বিকেলে মামলা করেন। যার মামলা নং-৩৮/০৯।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, ‘চালককে মারধর করে সিএনজি ছিনতাইয়ের ঘটনায় এজাহারভূক্ত দুই আসামিকে বাঁশখালী থেকে গ্রেপ্তারে করা হয়েছে। সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিও উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।’