কর্ণফুলীতে জনবল সঙ্কটেও ২৩ স্পটে তিন পুলিশ ফাঁড়ি

কর্ণফুলী প্রতিনিধি | বুধবার , ২৪ জুলাই, ২০২৪ at ৪:৪৭ অপরাহ্ণ

মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটি কাল থেকে কালান্তরের প্রতিষ্ঠিত একটি সত্য। এরই ধারাবাহিকতায় সিএমপির কর্ণফুলী থানাধীন তেইশ সপটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাধারণ মানুষের সেবায় অবদান রাখছে তিন পুলিশ ফাঁড়িশিকলবাহা, শাহমীরপুর ও বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি। কর্ণফুলী থানা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি, ১২ কিলোমিটার দুরে শাহমীরপুর ও থানা থেকে ৩ কিলোমিটার অদূরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা শিকলবাহায় সীমিত লোকবল নিয়ে চলছে তিন পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম। যদিও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি ফাঁড়ি পুলিশকেও পালন করতে হয় চেকপোস্টসহ আরো গুরু দায়িত্ব। কিন্তু দায়িত্ব ও সেবার বিবেচনায় ফাঁড়ি পুলিশের সুযোগসুবিধা যথেষ্ট নয়। রয়েছে আবাসন সঙ্কট, প্রশিক্ষণের অভাব, পরিবহন সমস্যাসহ নানা সরঞ্জামের অভাবে ভুগলেও সেবা প্রদানে পিছিয়ে নেই এই তিন পুলিশ ফাঁড়ি।সাধারণত থানার আকার, জনবসতি ও অপরাধ প্রবণতার ওপর ভিত্তি করে পুলিশি কার্যক্রম নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার জন্য ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়। ফাঁড়ি মূল পুলিশ স্টেশন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা অসুবিধা হয় বলে স্থানীয়ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ফাঁড়ি গঠন করা হয়।বর্তমানে কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা, শাহমীরপুর ও বন্দর তিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোবারক হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান ও উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান ফাঁড়ি এলাকার সাধারণ মানুষের সেবায় আস্থা অর্জন করে চলেছেন। বৃদ্ধি করেছেন পুলিশের সুনাম ও ভাবমূর্তি।কর্ণফুলী থানা পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ দমনে ফাঁড়িগুলো প্রতি মাসে বিভিন্ন মাদক উদ্ধার করে আয়োজন করেছেন মাদক বিরোধী সমাবেশ। তৃণমূল মানুষের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত চালু রেখেছেন বিট পুলিশিং কার্যক্রম। সাধারণ মানুষকে অপরাধীদের তথ্য প্রদানে উৎসাহিত ও থানামুখী করতে সামাজিক সমপৃক্ততাও ধরে রেখেছেন।এ প্রসঙ্গে শিকলবাহা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই মো. মোবারক হোসেন বলেন, ভাল কাজের স্বীকৃতি সব সময় আনন্দের।

বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা জানি দেশের মানুষকে নির্মোহভাবে ভালোবাসতে হবে। সব উপায়ে সর্বোত্তমভাবে পাশে থেকে সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করতে হবে। কেননা, পুলিশ জনগণের বন্ধু। উর্ধ্বতন স্যারদের নির্দেশে সেটাই করতে চেষ্টা করছি মাত্র।সিএমপি বন্দর জোনের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা বলেন, সিএমপির কর্ণফুলী থানার অবস্থানটা মূলত একটু প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার ভেতরে। প্রশাসনের অবস্থান জনবহুল ও লোকচক্ষুর সামনে রাখা হলে অপরাধ প্রবণতা কিছুটা কমে আসে সেটা হয়তো সত্য। তবে জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও নাগরিক ভোগান্তি কমাতেই তিন পুলিশ ফাঁড়ি ও ক্যামপ ভালো কাজ করছেন। থানার পরিধি বাড়ায় ভবিষ্যতে আরো পুলিশ স্টেশন হবে। আশা করি পুলিশ থেকে জনগণ তাঁদের কাঙ্খিত সেবা পাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচকরিয়ায় যুবদল ছাত্রদল ও শিবিরের পাঁচ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধভূজপুর জামিয়া আবু বকর সিদ্দিক ইসলামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাভবনের ভিত্তি স্থাপন