কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে এক চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ আসার খবর শুনে সংঘবদ্ধ চক্রটি পালিয়ে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা বড়উঠান ইউনিয়নের ফিলিং স্টেশনের পার্শ্বে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত চায়ের দোকানি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্থানীয় মো. সামশুল হুদার মালিকানাধীন দোকানে আমি গত তিনবছর ধরে মাসিক দুই হাজার টাকা ভাড়ায় ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। দুপুরে প্রায় ৫০–৬০ জন লোক এসে আমাকে মারধর করে দোকান থেকে বের করে দেয় ও ভাঙচুর চালায়। আমি বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চায়ের দোকানটি করে আসছি। ক্যাশ টাকা থেকে শুরু করে একটি জিনিসপত্রও তারা বের করতে দেয়নি। এতে আমার দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে পুলিশ আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
জায়গার মালিক মো. সামশুল হুদা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় মো. এরশাদ, মো. জুনায়েদ, মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে শতাধিক লোক জমির স্থাপনা ও দোকানে ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। এটার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
হামলা ভাংচুরের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে জমির মালিকের ছেলে মো. সোহেল জানান, হামলাকারীরা জমির অংশ পাওয়ার দাবি জানিয়ে অতর্কিতভাবে ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর আলমের দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
কর্ণফুলী থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, দোকানে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।