পেকুয়া থেকে কর্ণফুলীতে ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে ও কাজের খোঁজে আসা এক তরুণীকে গণধর্ষণের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহারনামীয় পলাতক ৩ জন আসামিকে আটক করেছে র্যাব–৭। গত সোমবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতরা হলেন মো. সোলায়মান (২৩), মো. রাজু (২৪), মো. নাজমুল প্রকাশ সাকমান (২০)। তারা সবাই কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব–৭ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী কক্সবাজারের পেকুয়া থানার বাসিন্দা। তিনি ১৮ জানুয়ারি তার বড় ভাইয়ের কর্ণফুলী এলাকার বাসায় বেড়ানোর উদ্দেশ্যে পেকুয়া থেকে বাসযোগে মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় পৌঁছান। সেখানে মাহিন্দ্রা চালক মো. শওকতের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে ভিকটিম গার্মেন্টসে চাকুরি এবং বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাসের জন্য মাহিন্দ্রা চালক মো. শওকতের নিকট সহায়তা চায়। শওকত ভিকটিমকে গার্মেন্টসে চাকুরির আশ্বাস দিয়ে কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য বলে। পরবর্তীতে মাহিন্দ্রা চালক শওকত ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানাধীন শিকলবাহা এলাকায় বাসার খোঁজ করছিল। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বিল্লাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থানরত ৭ জন দুষ্কৃতিকারী মাহিন্দ্রা চালক মো. শওকত এবং তার বান্ধবী বিলকিছ আক্তার ও বন্ধু ইমনকে মারধর করে জোরপূর্বক ভিকটিমকে অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে বিলকিছ আক্তার মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে জানায়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ১৯ জানুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কর্ণফুলী থানাধীন মহিউদ্দিন চৌধুরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছন থেকে এজাহারনামীয় ১ নং আসামি মো. আকাশকে (১৯) গ্রেপ্তার ও ভিকটিমকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ভিকটিমের খালা বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন জানান, গণধর্ষণ মামলায় র্যাবের হাতে আটককৃত তিন এজাহারনামীয় আসামিকে থানায় হস্তান্তরের পর গতকাল মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।