বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রথম ঢেউ এক বছর যেতে না যেতে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। যার আঘাত পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে। আর এই করোনার সংক্রমনের হার যেমন দিন দিন বাড়ছে তেমনি মৃত্যুর হারও। কিন’ অদৃশ্য এই ভাইরাস শুরুর দিকে ভয়ে ভয়ে সাধারণ মানুষ যেভাবে নিজে, পরিবারকে সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতো এখন কিন’ পুরোটাই ভিন্ন। এখন যেন আমাদের মধ্যে এক ধরণের অসর্তকতা, অবহেলা ও গা-ছাড়া ভাব দৃশ্যমান। অথচ এখনো করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কাঁপছে। আমাদের দেশেও হুহু করে আবার বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমন। কিন’ এখনও আমাদের মধ্যে কোন হুশ নেই। অথচ এই ভাইরাস এখন দেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই মুহূর্তে জীবন বাঁচানোই সবার করণীয়। তাছাড়া দেশের কিছু কিছু জায়গায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও র্যাবের প্রচারণা টিম টহলের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করছে যা প্রশংসার দাবিদার। তাই সরকার ঘোষণাকৃত ১৮ দফার দিক নির্দেশনাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আমরা যদি সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারি এটাই হবে এই মুহূর্তে উত্তম কাজ। তাই করোনা মোকাবেলায় সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। আমাদের সকলের উচিত হবে অন্যদের থেকে শারীরিক দূরত্ব বজার রাখা, দূষিত বাতাসে চলাফেরা না করা, ভিড় এড়িয়ে চলা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবার পানি দিয়ে বার বার হাত ধোয়া, নাক ও মুখ ঢেকে মাস্ক পরা। সুতরাং মরণব্যাধি করোনার সাথে মোকাবেলা করতে হলে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি সচেতনতার মাধ্যমে নিজেকে পরিবার-পরিজন দেশ ও অন্যান্যদের বাঁচাতে এর বিকল্প নেই।