গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই গত সাত মাসে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৯৪৯ জনের। এর আগে গত বছরের ২৮ আগস্ট করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৪৭ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৮১ জন। দেশে করোনায় এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে গত বছরের ২ জুলাই করোনা শনাক্ত হয়েছিল চার হাজার ১৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৮৯৫ জনে।
সোমবার (২৯ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৩৮ হাজার ১৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২০টি, জিন-এক্সপার্ট ৩১টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৮ হাজার ৬৬৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ১৯৫টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৬ লাখ ১৭ হাজার ২৫টি।-বাংলানিউজ
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৫ জনের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় জন, রাজশাহী বিভাগে পাঁচ জন, খুলনা বিভাগে তিন জন। এছাড়া বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন করে তিন জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৪ জন, বাড়িতে এক জন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আট জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
একই মত পোষণ করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকার কারণে আপাতদৃষ্টিতে আগ্রহীর সংখ্যা কমেছে বলে মনে হচ্ছে। বসয়সীমা কমানো হলে আগ্রহীদের সংখ্যা কমেছে কিনা তা বুঝা যাবে।