চীনে গতবছর মে মাসের পর প্রথম করোনাভাইরাসে আবার একজনের মৃত্যু হয়েছে। লকডাউন জারি থাকা হেবেই প্রদেশে মারা গেছেন এক নারী। বিবিসি জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন নতুন করে ১৩৮ জন শনাক্ত হওয়ার খবরও জানিয়েছে। গত মার্চের পর একদিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। এই সংক্রমণ ঘটেছে মূলত রাজধানী বেইজিং এবং হেইলংজিয়াংয়ের বাইরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হেবেই প্রদেশে। অন্য অনেক দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ হারের তুলনায় চীনে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও তা দেশটিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশেষ করে চীনে চান্দ্র নববর্ষ উদযাপনের আগে দিয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। খবর বিডিনিউজের। মহামারী শুরু হওয়ার পরপরই কঠোর লকডাউন আরোপ করাসহ আরও নানা পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল চীন। গত বছর মে মাসের পর থেকে সাত মাসে সেখানে আর কারও মৃত্যু হয়নি। তবে নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের দুই প্রদেশের চার শহরে লকডাউন জারি রেয়েছে। উৎস সন্ধানে চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিম
কোভিড-১৯ মহামারীর উৎস নিয়ে তদন্ত শুরু করতে চীনের উহান শহরে হাজির হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশেষজ্ঞ দল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বেইজিংয়ের মধ্যে কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তদন্তটি শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিজ্ঞানীদের ১০ জনের একটি দল উহানে প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত সিফুড মার্কেট, হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের লোকজনের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে তদন্ত শুরু করবে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে উহানে কোভিড-১৯ প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। এখন শহরটির জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তদন্তকারী দল বৃহস্পতিবার সকালে (স্থানীয় সময়) এখানে এসে পৌঁছায়। এখানে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকার পর তারা তাদের অনুসন্ধান শুরু করবেন। এই তদন্ত চীনের কর্মকর্তাদের দেওয়া নমুনা ও প্রমাণের ওপর নির্ভর করবে। প্রাণী থেকে মানুষে সংবাহিত হয়ে মহামারীটি শুরু হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখবে বিশেষজ্ঞ দল। চলতি মাসের প্রথমদিকে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল, চীন তাদের তদন্তকারীদের প্রবেশ করতে দেয়নি।