গত বছরের মার্চে বাংলাদেশে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরুর পর অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেও সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশের ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ প্রকাশিত একটি খানা জরিপের ফলাফলে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশজুড়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০টি খানার উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। যেখানে দশটি প্রান্তিক গোষ্ঠীর মুখোমুখি সাক্ষাতকারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রান্তিক গোষ্ঠীর আয় ১৫.৮ শতাংশ ও ব্যয় ৮.১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই পরিবারগুলোর প্রায় ৭৮.৮ শতাংশ অতিমারির ফলে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, যার ৭৮.৫ শতাংশই পুনরুদ্ধার হয়নি। সমীক্ষা করা পরিবারের প্রায় ৬০.৮ শতাংশ পরিবারকে বিকল্প পন্থা হিসেবে ঋণ নিতে হয়েছিল এবং সেটি পরিশোধ করতে তাদের গড়পড়তা প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির জ্যৈষ্ঠ গবেষক ইশতিয়াক বারি। তিনি বলেন, জরিপের জন্য অন্তর্ভুক্ত দশটি প্রান্তিক গ্রুপের মধ্যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, প্রতিবন্ধী, বস্তিবাসী ও চরের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বাড়তি ব্যয় ও ঋণ পরিশোধে সহায়তা দরকার। সরকারিভাবে নগদ আর্থিক সহয়তা দিয়ে এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বর্তমান কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে সাহায্য করা উচিত।