করমুক্ত আয়সীমা আগের মতো ৩ লাখ টাকা

তৃতীয় লিঙ্গের ক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ টাকা চসিক এলাকায় ন্যূনতম কর ৫০০০ টাকা

| শুক্রবার , ৪ জুন, ২০২১ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা সাধারণভাবে আগের মতই থাকছে, তবে নতুন অর্থবছরে এ ক্ষেত্রে ছাড় পাচ্ছেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা। বর্তমানে বছরে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় না। আর নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাদের সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ক্ষেত্রেও বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, ‘২০২০-২১ অর্থ বছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানের কারণে ২০২১-২২ অর্থ বছরের জন্য ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতার জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের সামাজিক আত্তিকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।’ খবর বিডিনিউজের।
অর্থমন্ত্রীর আয়করের আগের হার বহাল রাখার প্রস্তাব করায় সাধারণ করদাতাদের ক্ষেত্রে ৩ লাখ টাকা আয়কর দিতে হবে না। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে, তার পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ২০ শতাংশ হারে। তার চেয়ে বেশি আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হবে।
প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা আগের মতই ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা থাকছে। গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে করা দিতে হবে না।
এছাড়া কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাবা-মা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তানের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির বাবা-মা উভয়েই করদাতা হলে যে কোনো একজন এই সুবিধা পাবেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতার ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ হবে ৫ হাজার টাকা। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা আয়কর দিতে হবে। সিটি কর্পোরেশন ছাড়া অন্যান্য এলাকার করদাতাতের ক্ষেত্রে ন্যূনতম করের পরিমাণ হবে ৩ হাজার টাকা। কারো কর শনাক্তকারী নম্বর থাকলেই তাকে ন্যূনতম ওই টাকা আয়কর হিসেবে দিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালো টাকা বৈধতার ঘোষণা না দেওয়ায় টিআইবির সাধুবাদ
পরবর্তী নিবন্ধ৫০ হাজার টাকার বেশি ব্যবসায়িক লেনদেন ব্যাংকে আনার উদ্যোগ