কমলো চালের দাম

বোরোর প্রভাব পাইকারি বাজারে

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৩ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

কৃষকের ঘরে নতুন বোরো ধান ওঠার প্রভাবে পাইকারি বাজারে চালের দাম কমে গেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে লকডাউন শুরুর পর চালের বাজার চাঙা হয়ে ওঠে। সেই সময় ব্যবসায়ীরা চালের বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে বেশি বিক্রির অভিযোগ করেন। তবে দুই সপ্তাহ ঘুরতেই চালের বাজারে দরপতন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার কয়েক দফায় আমদানি শুল্ক কমায়। এর ফলে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ চাল নিয়ে আসেন আমদানিকারকরা। সে সব চালও এখন বাজারে মজুদ আছে। এরমধ্যে সম্প্রতি বোরো ধান এসেছে। যার ফলে দাম কমতির দিকে রয়েছে।
গতকাল নগরীর দুই বৃহৎ চালের আড়ত চাক্তাইয়ের চালপট্টি ও পাহাড়তলীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোরো ধান উঠার প্রভাবে বস্তায় চালের দাম সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। বর্তমান বাজারে জিরাশাইল সিদ্ধ, নাজিরশাইল সিদ্ধ, মিনিকেট সিদ্ধ, মিনিকেট আতপ, কাটারিভোগ সিদ্ধ, কাটারিভোগ আতপ, বেতি আতপ, পাইজাম সিদ্ধ মোটা সিদ্ধ চালের বেশিরভাগ যোগান আসে উত্তরাঞ্চলের দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর এবং কিশোরগঞ্জের আশুগঞ্জ থেকে।
চালের আড়তদাররা জানান, পাইকারি বাজারে চালের শুল্ক কমানোর প্রভাবে পাইজাম সিদ্ধের দাম বস্তায় ১০০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকা। এছাড়া স্বর্ণা সিদ্ধ বস্তায় ১০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ টাকা এবং মোটা সিদ্ধ ১৫০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৯০০ টাকায়। অন্যদিকে বর্তমানে নাজিরশাইল সিদ্ধ ২০০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকা, মিনিকেট সিদ্ধ ২৫০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৩৫০ টাকা, জিরাশাইল সিদ্ধ ২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকা, কাটারি সিদ্ধ ৩০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকায় এবং কাটারি আতপ ৩০০ টাকা কমে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বেতি আতপ ৩৫০ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা, মিনিকেট আতপ বস্তায় কমেছে ৫০০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ টাকায়।
জানতে চাইলে পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজাম উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বোরো মৌসুমের ধান কৃষকের ঘরে ওঠেছে। সেইসব ধান কৃষকদের থেকে সংগ্রহ করে অনেক মিলার নিয়ে যাচ্ছেন। নতুন ধান উঠলে স্বভাবত বাজারে প্রভাব পড়ে। ইতোমধ্যে বাজারে বস্তা প্রতি দাম ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমে গেছে। আগামী সপ্তাহে দাম আরো কমে যাবে।
চট্টগ্রাম রাইচ মিলস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রফিক উল্লাহ বলেন, বাজারে চালের দাম অনেক কমে গেছে। মূলত নতুন ধান ওঠা এবং পর্যাপ্ত চাল আমদানির কারণে দরপতন হয়েছে। লকডাউনের পর থেকে বাজারে বেচাকেনাও কমে গেছে। এছাড়া এখন পরিবহন সংকটও দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শুকনো মোটা ধানের মণ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা এবং আটাশ ধান শুকনো প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। গত দুই মাস আগে ধানের মণ বিক্রি হয়েছে ১১শ থেকে ১২শ টাকায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরেকর্ড বইয়ে শান্ত-মোমিনুল
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্বনেতাদের ৪ পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর