কমছে পেঁয়াজের দাম

জাহেদুল কবির | বৃহস্পতিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে আরো কমলো পেঁয়াজের দাম। গত একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজে দাম কেজিতে কমেছে ২৩ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সেই অনুপাতে বাজারে ক্রেতা নেই। বেচাবিক্রি কমে যাওয়ার কারণে মূলত পেঁয়াজের দাম কমছে। চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল বুধবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩৫৫ টাকায়। একদিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫৫৭ টাকায়।

পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি(তাহেরপুরী), বারি(রবি মৌসুম), বারি(খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছর জুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। ভারত থেকেও প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ আসছে। আমাদের এখানে সরবরাহ সংকটের জন্য দাম বাড়েনি। আর পেঁয়াজ চাইলেও কেউ এক সপ্তাহের বেশি গুদামজাত করে রাখতে পারে না। গরম পড়লে পেঁয়াজ সহজে নষ্ট হয়ে যায়। তাই যে বা যারা বলেন, পেঁয়াজ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়, এটি ভুল ধারণা। যেমন, এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াছে, তাই দামও কমে যাচ্ছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজের বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা চলতি বছরে কয়েক দফায় অতিরিক্ত মুনাফা করেছেন। সবগুলোই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা হয়ে যায়। আর এখন কমছে ২৩ টাকা করে। প্রশাসন নিয়মিত বাজার তদারকি করলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধবাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে, এক সপ্তাহ ভুগে মৃত্যু