ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। এরপর দেশে ঘটেছে ক্ষমতার পালাবদল। রাষ্ট্রপতির আদেশে ভেঙে দেওয়া হয়েছে সংসদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এই সংসদের সদস্য ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে নানা জায়গায় সংসদ সদস্যদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। তাদের জীবনের নিরাপত্তাও পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ অবস্থায় সাকিব আল হাসান কানাডার গ্লোবাল টি–টোয়েন্টি লিগে খেলছেন। সামনে রয়েছে পাকিস্তান সফর। সাকিব কবে ফিরবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন দেখুন, সাকিব আল হাসানের ১২ আগস্ট পর্যন্ত এনওসি আছে। ১৩ই আগস্ট তার দেশে আসার কথা অথবা আমাদের রিপোর্ট করার কথা। আজকে হচ্ছে ৭ই আগস্ট। তার আরও দুই তিনটা খেলা আছে। আমি তার সঙ্গে যোগাযোগ করবো। সংসদ সদস্যদের বেশির ভাগই দেশ ছেড়েছেন অথবা ওই চেষ্টা করছেন। সাকিবের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কি আলাদা নজর দেবে বিসিবি? এমন প্রশ্নও করা হয়েছিল শাহরিয়ার নাফিসকে। তিনি বলছেন, সাকিব এখন ক্রিকেটার হিসেবেই নিরাপত্তা পাবেন। নাফিস বলেন নিরাপত্তার ব্যাপারতো আছে। এটা শুধু সাকিব আল হাসানের ব্যাপার বলেই নয়। এখানে আপনার নিরাপত্তার ব্যাপার আছে। এখানে আমার সিনিয়র ভাইদের নিরাপত্তার ব্যাপার রয়েছে। সাকিব আল হাসান এখন একজন ক্রিকেটার। গত মঙ্গলবারের রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুযায়ী উনি আর সংসদ সদস্য নন। উনি একজন ক্রিকেটার। যেহেতু ১২ আগস্ট পর্যন্ত তার এনওসি রয়েছে। তারপর তার বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে যোগ দেওয়ার কথা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক প্যানেল এখন পর্যন্ত কিন্তু পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা করেনি। যখন ঘোষণা করে, যখন তিনি দলে থাকবেন তখন একরকম। আর না থাকলে আরেকরকম। সাকিবের থাকা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে নাফিস বলেন একটা প্রশ্ন হচ্ছে সাকিব আল হাসান এভেইলেবল আছেন কি না। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে তিনি সিলেক্টেড হন কি না। শাব্দিক পার্থক্য সবাই বুঝতে পারে। বাংলাদেশ দলের বিদেশি কোচিং স্টাফ সদস্যরা কোথায় আছেন এ নিয়ে নাফিস বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের যারা সাপোর্ট স্টাফ, তারা সবাই বাংলাদেশে এভেইলেবল আছেন। তারা অনুশীলন শুরু হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।