কপ২৬ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রকর্ষিত ভূমিকা

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ২০ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবী নামক এই গ্রহে বিদ্যমান সঙ্কটসমূহের মধ্যে পরিবেশ সুরক্ষা সর্বোচ্চ প্রণিধানযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচ্য। উন্নত-উন্নয়নশীল-অনুন্নত বিশ্বের সামাজিক-প্রাকৃতিক অস্তিত্ব কত দ্রুত চরম বিপন্নতায় পর্যুদস্ত হতে চলেছে; তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ-মতামত-ভবিষ্যদ্বাণী পুরোবিশ্বকে প্রতিনিয়ত নবতর প্রকরণে পরিবেশের সকল উপাদান-জীববৈচিত্র্য-জীবনপ্রবাহের পরিবর্তনশীল গতিধারা সম্পর্কে প্রচন্ড কৌতুহলী করে তুলছে। পরিত্রাণের সুগম পন্থা উদ্ভাবনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের পক্ষ থেকে করুণ আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হলেও তা কোনোভাবে উন্নত বিশ্বের কর্ণগোচরে আসছে বলে মনে হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে প্রতিশ্রুত বিষয় সমূহের প্রতি চরম অবজ্ঞা-অমনোযোগ বিবেকপ্রসূত বিশ্ববাসীকে যারপরনাই হতবাক করছে। ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের উদ্যোগে ২৫টি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও পরিবেশবাদীদের প্রত্যাশিত কোন শর্তই পূরণ হয়নি। পক্ষান্তরে উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর শক্তিমান করার উদ্দেশ্যে বিশ্বের সম্পূর্ণ অর্থব্যবস্থা নিজেদের করায়ত্ত করার অন্ধমোহে কথিত উন্নত বিশ্বের রাষ্টনায়কদের বেপরোয়া মনোভাব বিশ্ববাসী ঘৃণা ভরে অবলোকন করছে।
১ নভেম্বর ২০২১ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় অনুষ্ঠিত ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৬) মূল অধিবেশনে বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাস করার জন্য প্রধান নির্গমনকারীদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা (এনডিসি) পেশ এবং সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। উক্ত অধিবেশনের ভাষণে তিনি চারটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে- ধনী দেশগুলোর কার্বন নি:সরণ কমানোর ওপর জোর দেওয়া, উন্নত দেশগুলোর উচিত অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০ ঃ ৫০ ভারসাম্য রেখে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা, সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিচ্ছন্ন-সবুজ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া ও সিভিএফ দেশগুলোর উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করা এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙ্গন, বন্যা-খরার কারণে বাস্তুচ্যুত জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশ্বব্যাপী দায়বদ্ধতা ভাগ করে নেওয়াসহ লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সমাধান করা। এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় তাঁর সরকার কর্তৃক বিভিন্ন পদক্ষেপ সমূহ বিশ্বনেতৃবৃন্দের সামনে তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে- দেশের এনডিসি আপডেট, ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী বিনিয়োগে ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল এবং ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নিজস্ব শক্তির ৪০ শতাংশ নেওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালুকরণ প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন।
কপ২৬ সম্মেলনস্থলে কমনওয়েলথ প্যাভিলিয়নে ‘সিভিএফ-কমনওয়েলথ হাই-লেভেল ডিসকাসন অন ক্লাইমেট প্রসপারিটি পার্টনারশিপ’ শীর্ষক আলোচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথির ভাষণে ধনী দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দরিদ্রতম ও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮ দেশের অর্থায়ন চাহিদার আশু স্বীকৃতি দাবি করেন। তিনি প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং কমনওয়েলথ দেশগুলোর যৌথ পদক্ষেপের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধান অনুসন্ধানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন একটি বৈশ্বিক ও আন্তঃসীমান্ত সমস্যা এবং এর মারাত্মক পরিণতি থেকে কোনো দেশই মুক্ত নয়। জলবায়ু দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং এসবের প্রভাব নাজুক দেশগুলোকে অপূরণীয় ক্ষতির অগ্রভাগে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এটা বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে প্রভাবিত করছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যৌথ প্রচেষ্টা সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলো প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।’ তিনি ছয় বছর আগে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে উন্নত দেশগুলো ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বছরে ১০০ কোটি ডলারের যে তহবিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল; তা এখনও পুরোপুরি সফল না হওয়াকে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং হতাশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন।
২ নভেম্বর ২০২১ স্কটিশ পার্লামেন্টের কমিটি কক্ষে ‘বৈশ্বিক জলবায়ু সমৃদ্ধিতে বাংলাদেশের দর্শন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে ইতিমধ্যে জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ৬০ লাখ মানুষ রয়েছে যার সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। যেটি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলার ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
আমাদের সকলের জানা যে, ১৯৭২ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিশ্বের প্রথম পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন শীর্ষক সম্মেলনে পরিবেশ সংক্রান্ত একটি বৈশ্বিক চুক্তি সাক্ষরিত হয় যার মূল লক্ষ্য ছিল বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের হার এমন অবস্থায় স্থিতিশীল রাখা যাতে জলবায়ুগত মানবিক পরিবেশের জন্য তা বিপত্তিকরণ না হয়। ১৯৯৭ সালের ১১ই ডিসেম্বর জাপানের কিয়োটো শহরে গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের জন্য দায়বদ্ধ করে যে বহুরাষ্ট্রীয় আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছিল তা কিয়োটো প্রটোকল নামে সুপরিচিত। বর্তমানে এই চুক্তির দ্বারা ১৯২টি দেশ দায়বদ্ধ রয়েছে। চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলতে পারার মতো বায়ুমন্ডলে গ্রীনহাউজ গ্যাসর পরিমাণ কমিয়ে আনার জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ সভায় গৃহীত লক্ষমাত্রাগুলোকে পূরণের কথা বলা হয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে উন্নত দেশগুলোকে নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে আনার জন্য দায়বদ্ধ করে ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রথম দায়বদ্ধতা সময়কালে ৩৭টি শিল্পোন্নত দেশের নিঃসরণের পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে এই চুক্তিকে পরিবর্ধন করে পেশ করা হয়, যা দোহা সংশোধনী নামে পরিচিত।
২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয় জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন, কপ২১। সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি ও উপস্থিত ১৯৬টি দেশের প্রতিনিধিদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস সম্পর্কিত একটি বৈশ্বিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। দেশগুলো গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাস করার পদ্ধতির অংশ হিসেবে নির্গমন হ্রাস করতে চুক্তিতে সর্বসম্মতভাবে রাজি হয়েছিল। সদস্যরা তাদের কার্বন নিঃসরণকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হ্রাস এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছিল। ২২ এপ্রিল ২০১৬ নিজস্ব আইনি ব্যবস্থায় গ্রহণের মাধ্যমে ১৭৪টি দেশ নিউইয়র্কে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই সম্মেলনের আগে ১৪৬টি জাতীয় জলবায়ু প্যানেল প্রকাশ্যে জাতীয় জলবায়ু অবদানের একটি খসড়া উপস্থাপন করে যা ‘উদ্দিষ্ট জাতীয় নির্ধারিত অবদান’ নামে স্বীকৃত। পূর্বের চুক্তিগুলোতে আইনগত বাধ্যবাধকতা না থাকায় অনেক দেশই চুক্তি মানে নি বা চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছে। নানা কারণে ‘কপ২১’ সমগ্র বিশ্ববাসীর নিকট অধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত ‘কপ ১৫’ সম্মেলনের হতাশা কাটিয়ে প্যারিস চুক্তিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আশার আলো দেখেছিল। অনেকেই পূর্বের যে কোনো জলবায়ু চুক্তির চেয়ে প্যরিস চুক্তিকে অনেক শক্তিশালী ও উচ্চাভিলাসী আখ্যায়িত করেছেন। সব জলবায়ু সম্মেলনের মূল এজেন্ডা ছিল কার্বন ডাই অঙাইড গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাস করা। কিন্তু নবায়নযোগ্য গ্রিন এনার্জি নিয় বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশ কমবেশি কাজ করলেও কার্বন নিঃসরণ কমাতে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়নি।
কার্বন নিঃসরণ এবং গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এক চরম দুর্ভাগার দেশে পরিণত হয়েছে। মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ বিশ্বে সর্বনিম্ন হওয়া সত্ত্বেও এর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮.৫, জাপানের ৯.৫, মালয়েশিয়ার ৭.৭, ভারতের ০.৮ টনের বিপরীতে বাংলাদেশের নিঃসরণ মাত্র ০.৩ টন। গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের ক্ষতিকর প্রভাবও বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পূর্ববর্তী কোনো অঙ্গীকারই পুরোপুরি বাস্তবায়িত না হওয়ায়, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২১০০ সন পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২০ সেলসিয়াস এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অঙ্গীকারও নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ইন্টার গভার্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’র (আইপিসিসি) ৪র্থ সমীক্ষা অনুসারে, গত শতাব্দীতে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ০.৭৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ শতাব্দীর শেষ নাগাদ যা ২.৫০ থেকে ৩.৫০ সেলসিয়াসে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০৩০ সালে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১০-১৫ শতাংশ এবং ২০৭৫ সাল নাগাদ ২৭ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে ৪৫ সেমি.।
গত তিন দশকে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হলেও আবাদি জমি-উর্বরতা হ্রাস, কৃষিতে জ্বালানির ব্যবহার, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সেচের পানি সঙ্কট, নদীভাঙ্গন, রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ বাংলাদেশের কৃষিকে নানাভাবে বিপদগ্রস্ত করে চলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে কৃষিতে চ্যালেঞ্জসমূহ আরও জটিল হচ্ছে। যদিও শস্যদানা উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ তথাপি তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে তা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞজনের ধারণা মতে, ২০৫০ সালে বর্তমানের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি খাদ্য লাগবে। পরিবর্তিত জলবায়ুতে আগামীতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশকে কঠিন যুদ্ধে লিপ্ত হতে হবে। বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানী, কৃষিবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবাই খরা, জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলের জাতসহ নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে যুগান্তকারী সাফল্য দেখিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারের সকল কর্মকাণ্ডে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে। পরিকল্পিত কর্মকৌশল প্রায়োগিক বিবেচনায় কার্যকর ও দৃশ্যমান না হলে অর্জিত সকল উৎকর্ষতা দুরাশার দীর্ঘশ্বাসে পরিণত হবে – নিঃসন্দেহে তা বলা যায়।
লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধশফিকুল ইসলাম ছিলেন আ. লীগের দুর্দিনের কাণ্ডারী