কক্সবাজার সৈকতে ফুটবল খেলায় কাল হলো তাদের

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১২ অক্টোবর, ২০২৩ at ৯:৪৭ অপরাহ্ণ

কক্সবাজার সমুদ্র এবার কেড়ে নিল দুই স্কুল ছাত্রের প্রাণ। বৃস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকালে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল ৩টায় দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে ফুটবল খেলতে নামে শহরের বাহারছড়ার ৮—১০ জন কিশোর। খেলার এক পর্যায়ে ৩ বন্ধু সাজিদ, আরিফ ও মাহাদি সাগরে গোসল করতে নেমে। কিছুক্ষণ পর প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায় তাঁরা।

তাঁদের আর্তচিৎকার ও ডুবে যাওয়ার দৃশ্য দূর থেকে দেখছিলেন আরেক বন্ধু সাহেদুল হুদা। তাৎক্ষণিক সে পাড়ে থাকা কয়েকজন পর্যটককে ডুবে যাওয়া বন্ধুদের বাঁচানোর জন্য আকুতি করে। কিন্তু পর্যটকেরা ব্যস্ত ছিল টিকটক নিয়ে।

পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি দৌঁড়ে এসে ঝাঁপ দিয়ে মাহাদিকে পাড়ে তোলে আনেন। কিন্তু ততক্ষণে ভেসে যায় সাজিদ (১৫) ও আরিফ (১৬)। তাঁদের উদ্ধারে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে লাইফ গার্ডের সদস্যরা তৎপরতা চালায়।

ওইসময় সাজিদকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিখেঁাজ আরিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, ২ জনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। মর্গের বাইরে বন্ধু ও স্বজনদের আহাজারি। অনেকেই এই মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। সাজিদের স্বজন ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, সে আমার ভাতিজা ছিল। তাঁর পিতার সাইফুল ইসলাম। সে কক্সবাজার পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল। এছাড়া বাদশার পুত্র আরিফ বাহারছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো। দুইজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, পানিতে ডুবে তাঁদের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, লাইফগার্ড সদস্যরা তাঁদের বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু পানিতেই তাঁদের মৃত্যু হয়ে যায়। পোস্টমর্টেম ছাড়া মরদেহ হস্তান্তরের জন্য স্বজনেরা আবেদন করেছেন। মানবিক বিবেচনায় আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃ*ত্যু
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু