কক্সবাজার সৈকতের ভাঙন রোধে ৬২৪ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ। ‘কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভাঙন হতে কক্সবাজার শহর রক্ষা প্রকল্প’ নামে একটি প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে পাউবো কক্সবাজার কার্যালয়। প্রস্তাবনাটি বর্তমানে পাউবোর প্রধান কার্যালয়ে যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে। খবর বাসসের।
পাউবো কঙবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি প্রকল্প তৈরি করেছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। এতে সমুদ্র সৈকতকে ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
গত কয়েক বছর ধরে সাগরের প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন এলাকার বালিয়াড়ি ধসে পড়েছে। বিশেষ করে সৈকতের লাবণি পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত এ ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এতে উপড়ে গেছে লক্ষাধিক ঝাউগাছ। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ বক্স, অস্থায়ী দোকান, ওয়াচ টাওয়ার এবং পর্যটন কর্পোরেশনের বেশ কিছু স্থাপনা ভাঙনের কবলে পড়েছে। এর বাইরে সৈকতের পাশের একাধিক রেস্তোরাঁ ও ভবনেও ভাঙনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সৈকতের নাজিরারটেক থেকে লাবণি পয়েন্ট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে পাউবো। সমুদ্রের ক্ষয় হতে কঙবাজার শহর রক্ষায় কঙবাজার সমুদ্র সৈকত সংরক্ষণ ও পর্যটকবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিই এ উদ্যোগের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল শৈবালের ব্যবস্থাপক রায়হান উদ্দিন আহমেদ বলেন, কঙবাজার শহরে সাগরতীরে পর্যটন কর্পোরেশনের ১৩৫ একর জমি রয়েছে। গত কয়েক বছরে ভাঙনের কারণে প্রায় ১৩ একরের মতো জায়গা সাগরে চলে গেছে। বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। যাতে অবশিষ্ট জমি এবং সরকারি স্থাপনাগুলো রক্ষা করা যায়।












