কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত : বদলে দিতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ

মুহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী, গবেষক | রবিবার , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। দৈর্ঘ্য ১২৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কক্সবাজারকে পর্যটন রাজধানী ঘোষণা করেছে। সাগরের বেলাভূমিতে এরূপ দীর্ঘ সৈকত পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই। মহান আল্লাহর সৃষ্টি এ সৈকতের বাহ্যতে কোনো পরিবর্তন হয়নি হাজার বছরের পথ পরিক্রমায়। কক্সবাজার বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত জেলা শহর, পূর্বে ছিল মহকুমা শহর। আজ হতে ১৫৪ বৎসর পূর্বে ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় কক্সবাজার পৌরসভার! চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। সময়ের হাত ধরে বৈচিত্র পিয়াসি প্রকৃতি প্রেমী মানুষের পদচারণায় কক্সবাজার বেলাভূমি হয়ে উঠে পৃথিবীর দীর্র্ঘতম সমুদ্র সৈকত।

আরাকানী ভাষায় কক্সবাজারের আদিনাম ফালোংক্ষিমো। ১৭৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বর্মা রাজা হদোফায়ারের অত্যাচার ও দুর্ভিক্ষ কবলিত ত্রিশ হাজার আরাকানবাসী তৎকালীন ইংরেজ গভর্নমেন্টের আশ্রয়ে চলে আসে। তারা আশ্রয় গ্রহণ করে ফালোংক্ষিতে। এদের সুবন্দোবস্ত করার জন্য গভর্নমেন্ট ক্যাপ্টেন হিরণ কক্স নামীয় এক ইংরেজ সাহেবকে নিয়োগ দিয়ে ফালোংক্ষিতে পাঠায়। ক্যাপ্টেন কক্স সাহেব জরা, ব্যধি ও দুর্ভিক্ষ পীড়িত এ বিরাট জনগোষ্ঠির সব দায়িত্ব নিজ স্কন্ধে তুলে নেন। দিবা রাত্রি দুঃস্থঅনাহার ক্লিষ্ট মানুষের খাবারবাসস্থান চিকিৎসার দুঃসাধ্য সাধনে ব্রতী হন। অমানসিক পরিশ্রম আহারনিদ্রা বিশ্রামে অনিয়ম সর্বোপরি প্রতিকূল পরিবেশে তিনি নিজকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারেননি। তাঁর স্বাস্থ্যহানী ঘটে। ক্যাপ্টেন কক্স অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শোকেমুহ্যমান বেদনার্থ ফালোংক্ষিবাসী চোখের জলে বিদায় জানায় কক্স সাহেবকে। দেবতুল্য এ মহান ব্যক্তিকে পরম শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সমাহিত করা হয় বহতা নদী বাঁকখালীর তীরে একচিলতে সমাধিক্ষেত্রে। শ্রদ্ধা ভালোবাসার অর্ঘ্য, ফুলের সাথে কবরে দেয়া হয় পরিধেয় অলংকরাধি। সবুজ পত্র পল্লবে ঢেকে দেয়াহয় সমাধি। দীর্ঘ সময় চলে শোকের মাতম। তারা নাম বদলায় ফালোংক্ষির। তখন থেকে ফালোংক্ষি হলো কক্সবাজার। কিন্তু ক্ষুদ্র নদীতট তাঁকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। নদী ভাঙ্গনে তাঁর দেহাবশেষ চলে যায় সাগরে। অবশেষে তাঁর শেষ ঠিকানা হলো সাগরের বিশালতায়। তাঁর অন্য কোনো স্মৃতিচিহ্ন আজ আর অবশিষ্ট নেইশুধু রামু’র সে কাঁচারী বাড়িটি ছাড়া।

এক সময়ের দুর্গম পাহাড়ী জনপদ কক্সবাজার এখন উন্নত পরিবহন নেটওয়ার্কের আওতায়। ঢাকাচট্টগ্রাম হতে বিমান, ঢাকা হতে ট্রেনবাসে অথবা ঢাকাচট্টগ্রাম হতেও ট্রেনবাসে কক্সবাজার। এর সাথে আছে ব্যক্তিগত যান বাহন। চট্টগ্রাম হতে ট্রেন সার্ভিস কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ এর নতুন প্রকল্প চালু হয়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উম্মেচিত হল সাথে যুক্ত হবে আধুুনিক বিমান বন্দর। এক সময়ে ডাক বাংলো, রেষ্ট হাউজের বাইরে সাধারণ মানের আবাসিক হোটেল ছিল পর্যটকদের আবাসন। পরবর্তীতে বেসরকারি হোটেল সায়মন, পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল উপলপ্রবাল ও কিছু কটেজ যোগ হয় এর সাথে। পর্যটকদের চাহিদা রুচির সাথে তালমিলিয়ে বর্তমানে বেশ কিছু পাঁচ তারা ও সাত তারা মানের হোটেল সহ অনেক আধুনিক ও সাধারণ মানের হোটেল সমৃদ্ধ কক্সবাজার। রয়েল টিউলিপ, ওসান ফ্রাইডে, লংবী, সী পার্রল, সায়মন বীচ রিসোর্ট, হোটেল দা বক্স টুডে, হোয়াইট অর্কিড মারসাই রিসোর্ট, হোটেলসীগাল, সীপ্যালেস, সীক্রাউন, ড্রীম ক্যাসেল, মিডিয়া, শৈবাল, লাবনী, নিঠোল বী, রেনেসা, হলিডে, বেভিউ, অভিসার ইত্যাদি শ্রুতিমধুর সাগর ও সৈকত আবর্তিত রোমান্টিক আকর্ষণীয় নামাবলীর অনেক হোটেল।

কক্সবাজরের ভূপ্রকৃতি একদিকে গিরিশ্রেণি অন্যদিকে সাগর বিধৌত বেলাভূমি, সমান্তরালভাবে বিস্তৃত। পাহাড় থেকে ধাপে ধাপে নেমে আসা গ্যালারির মত শহর ও সমুদ্র সৈকত সত্যিই অপরূপ! চির হরিৎ পাহাড়ে আছে শাল, সেগুন, গর্জন, গামারি, আম, জাম, কাঠালের বনজ ও ফলজ বৃক্ষরাজি। বেলাভূমিতে আছে প্রাকৃতিক নিয়মে জন্ম নেয়া লতা গুল্ম, ফুলে ফুলে শোভিত কলমিলতা, সাথে আছে ঝাউ নারকেলের নিবিড় বনায়ন, পর্বত চূড়ায় আছে বৌদ্ধ মন্দির, আর বাতিঘর থেকে বিচ্চুরিত ১৫ কিলোমিটার বিস্তৃত আলোক বর্তিকা। রাখাইন পল্লীতে বার্মিজ সামগ্রীর পসরা ও রাখাইন মেয়েদের সাবলীল বিকিকিনি। বীচে সামুক ঝিনুকের তৈরী মনোলোভা অলংকার, ফেন্সি ঝাড়বাতি, খেলনা সামগ্রী। সূর্যস্নান অবকাশ যাপনে বেঞ্চি, বর্নিল ডাউস ছাতার সারি। অপরূপ সাজে সৈকত। প্রাচীনকালে কাঠ, ধান, মাছ, শুটকি, লবন ছিল অর্থকরি ফসল ও ব্যবসায়িক পণ্য। বর্তমানে এটি নির্ভর অর্থনীতির সাথে রূপালী চিংড়ি খাত। বেলাভূমিতে বালি মিশ্রিত জিরকন, ম্যাগনেটাইট ও রুটাইলের মত হাজার হাজার কোটি টাকা মূল্যের খনিজ সম্পদ। বিশেষজ্ঞদের অভিমত বিদেশীদের দ্বারা বালি আহরণের অনুমতি প্রদান দেশের স্বার্থের প্রতিকূল।

এক সময় মানুষ কক্সবাজার আসতো স্বাস্থ্যকর স্থানে হাওয়া পরিবর্তনে। অতপর আসা শুরু হল ছায়াছবির চিত্রায়নে। ধীরে ধীরে যোগ হলো পর্যটকদের আগমন। আসে নব দম্পত্তি মধুচন্দিমায়। কপোত কপোতি আসে নিরিবিলি অন্বেষণে। আসে পরিবার পরিজন, প্রকৃতি প্রেমী, ভাবুক, বিরহকাতর্লপ্রেমিকজন। অক্টোবরমার্চ, ছয়মাস পর্যটন মৌসুমে বিপুল পর্যটকের ভীড় হয় কক্সবাজারে। সূর্যস্নান, সাগরে অবগাহন, সাগরের ঢেউএর সাথে পাঞ্জা লড়ে তলিয়ে যাওয়া, বিদায়ী সূর্যের লালিমায় নিজকে রাঙানো, দুর্লভ মুহূর্তটি ক্যামেরা বন্দি করা, নিঃসীম নীলিমায় হারানো সাগর আর নীলাকাশের অস্তিত্ব নির্ণয়ে গলদঘর্ম, কবিতার পংক্তি রচনা, সাগরের বিশলতায় নিজকে খুঁজে ফেরা, সর্বোপরি বিশাল সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে অবিভুত হওয়া। এখানে এলে প্রাণ পায় হতোদ্যম ব্যক্তি, মনের বিশালতা ক্ষুদ্রতাকে অতিক্রম করে, সমুদ্র গর্জনে তারুণ্যের বিকাশ ঘটে, বৃদ্ধরা ফিরে যায় যৌবনে, আসলে প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য কক্সবাজার আসতেই হয়।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মূল বীচ লাবনী। শহর সংলগ্ন এ বীচেই বেশিরভাগ পর্যটক আসে। কোলাহল মুক্ত ইনানী বীচ শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে। এখানে হাঙ্গরমুক্ত স্বচ্ছজলে স্নান ও জলকেলি আরাম ও আনন্দদায়ক। অবকাশ যাপন, স্বর্ণালী বালির বেলাভূমি আর পাহাড়ের বৈচিত্র্যতায় মুগ্ধ পর্যটকগণ। হিমছড়ির দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে। পাহাড়ের সবুজের ফাঁক গলে শত শত ফুট উপর থেকে ঝরনা ধারা নেমে আসছেসত্যিই অপূর্ব!

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত লাবনী কেন্দ্রিক। ইনানী ও হিমছড়ির আকর্ষণ ও সুবিধা বাড়িয়ে পর্যটন সম্ভবনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। বীচ দু’টিকে সাজাতে হবে পরিকল্পিত ও আকর্ষণীয় রূপে। আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। গড়ে তুলতে হবে আরও নতুন উপশহর। সাগরের গভীর পর্যন্ত বয়াব্রীজ, উচুঁ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ, প্রাকৃতিক বনায়ন। অপরিকল্পিত অবকাঠামো অপসারন, খেলারমাঠ, পার্ক নির্মাণ, চোরাবালি থেকে পর্যটকদের রক্ষার জন্য স্নানের স্থান নির্দিষ্ট করে জাল বিছিয়ে দেয়া, লাইফ সাপোর্ট সরবরাহ, সাগরে দুর্ঘটনায় পতিত পর্যটকদের উদ্ধারে চার্চ ও রেসকিউ সেল গঠন, সর্বোপরি পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রাকৃতিক সপ্তমাচার্য্য হিসাবে স্থান করে নিতে ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে কক্রবাজার সমুদ্র সৈকত জয়ী হতে পারলে আরও একধাপ এগিয়েযাবে সম্বৃদ্ধির পথে। ইদানীংকালের মারাত্নক অব্যবস্থাপনা কিশোরগ্যাং থেকে উঠতি ও পেশাদের চাঁদাবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং সৈকতে গড়ে উঠা বিভিন্ন অপরাধ সংগঠন দমন করে বিশ্বমানের নিরাপদ সৈকত ব্যবস্থাপনা একান্ত আবশ্যক। নচেৎ এর বিরূপ ফল ভোগ করতে হবে জাতিকে। কারণ আজকাল যা চলছে তা হরিলুট ছাড়া আর কিছুই নয়।

দেশীয় পর্যটকদের সাথে বৃটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ইতালী, ফ্রান্স, জার্মানী, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন জাপান, কোরিয়া, হংকং, পাকিস্তান, ভারত, নেপালসহ কম বেশি সারা পৃথিবীর মানুষ এ সৈকতে ভ্রমণে আসা। পর্যটকদের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। এ এফপি’র রিপোর্ট মতে শীতকালে আবাসিক হোটেলে প্রায় এক লক্ষ পর্যটকদের জন্য বুক থাকে সে এক যুগ আগের কথা। বর্তমানে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ পর্যটক এ সৈকত ভ্রমণ করে। ভবিষ্যতে পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য প্রস্তাব মত বীচের সৌন্দর্য বর্ধন, পর্যটকদের রুচি, প্রয়োজন মত বিশ্বমানের অবকাঠামো, নিরাপত্তাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে পর্যটকদের সংখ্যা বহু গুণ বাড়বে। এর সাথে ঝিনুক, শামুক, মুক্তার গহনা, নক্‌শি কাঁথা, হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, কারুশিল্প, চারুশিল্প, ছবি, পোর্টেট, উন্নতমানের দেশীয় শিল্পপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে। তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্বমানের এ যুগে পর্যটন ক্ষেত্রে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আমাদের সমৃদ্ধির দ্বারা অবারিত করে দিয়েছে। আমাদের কাজ হলো এর পুরো সম্ভবনাকে কাজে লাগানো। সরকারি বেসরকারি সমম্বিত প্রচেষ্টা খুব জরুরি। আকৃষ্ট করতে হবে দেশী বিদেশী বিনিয়োগকারীকে। একটা বিষয় লক্ষ্য রাখা খুবই প্রয়োজন, উন্নয়ন কখনো যেন প্রকৃতি বিনাশী না হয়। তবেই আকৃষ্ট হয়ে দেশী বিদেশী পর্যটকরা আসবে বিপুল সংখ্যায়। অঢেল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সাথে সম্প্রসারিত হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, ব্যবসা বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান। প্রিয় মাতৃভূমির সমৃদ্ধির জন্য এর কোন বিকল্প নেই। সম্প্রতি সরকার পর্যটন সম্ভবনাকে প্রাধান্য দিয়ে কক্সবাজারকে বিশেষ পর্যটন জোন হিসাবে গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার হতে মিরসরাই পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন মেরিন ড্রাইভওয়ে সে ঘোষণা বাস্তবায়নে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করছে। আমরা আশাবাদি ও বিশ্বাসী, অবশ্যই কক্সবাজার সুমদ্র সৈকত বদলে দিতে পারে আমাদের ভবিষ্যৎ! সর্বশেষ সংযোজিত অত্যধুনিক রেল যোগাযোগ, রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন অবকাঠামো যোগ হয়ে রেল চালু হলে অচিরেই কক্সবাজার পৃথিবীর এক নম্বর পর্যটন স্পট হিসেবে মর্যাদা লাভ করবে।

ইতিহাসের অমূল্য অনুসঙ্গ একজন নিবেদিত প্রাণ ইংরেজ সাহেব নিজ কর্তব্য পালনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানবতার জন্য। দৃশ্যত তাঁর কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই সাগরের অতল তল ব্যতিত। দেশ ও জাতীয় গর্ব এইমানব হিতৈাষী ‘মিঃ কক্স এর অবদান স্মরণ রাখার জন্য একটি স্মৃতি চিহ্ন রাখা আবশ্যক’ স্মৃতি রক্ষায় প্রকল্প গ্রহণ আমাদের আত্নগৌরব ও কৃতজ্ঞতার জন্য অপরিহার্য।

কক্সবাজারে প্রাচীন আমলের বেশ সুদৃশ্য ভবন অথবা নতুন ভবন তৈরি করে মি: হিরন কক্স যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে। যেখানে মি: হিরন কক্সের জীবনভিত্তিক বিষয় ও কর্ম সংশ্লিষ্ট কক্সবাজারের আদিও বর্তমান ঐতিহ্যের সাথে সর্বসাধারণ সহ দেশীবিদেশী পর্যটকদের জানার জন্য নিতান্তই অপরিহার্য।

লেখক : গবেষক, আইনজীবী

পূর্ববর্তী নিবন্ধরসনা জৌলুসে অনন্য ‘আঁরার চাটগাঁইয়া দুরুছ কুরা’
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের লোককবি ও লোকগান