কক্সবাজার পৌর মেয়রকে দুদকে ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

| সোমবার , ২১ মার্চ, ২০২২ at ৮:২০ পূর্বাহ্ণ

জমি দখল, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানকে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুপুর ১টা থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের উপ পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. আলী আকবর অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মজিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ খবর বিডিনিউজের।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কমিশন থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা কক্সবাজার পৌর মেয়রকে প্রশ্ন করেন, আপনাকে দুদক কেন ডেকেছে? সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ভূমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে আপনি সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ? এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাই। কিন্তু তিনি কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তাড়াহুড়ো করে বের হয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে উঠে চলে যান। দুদকে মজিবুর ও অন্যদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষগ্রহণ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা দখলসহ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তারা।
এর মধ্যে মজিবুরের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অভিযোগগুলো হল- কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে সরকারি খাস জমির উপর ৬০টি দোকান ঘর ও পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলী এলাকায় সরকারি খাস জমিতে কাঁচাবাজার নির্মাণ; ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি হোটেল-রিসোর্ট দখল, অনিয়মের মাধ্যমে কক্সবাজার ভূ-উপরিস্থ পানিশোধনাগার প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের অর্থ উত্তোলন, ২৬টি মেগা প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে উৎকোচ গ্রহণ, উৎকোচের মাধ্যমে জেলার দুটি পৌরসভা এবং ১৪টি ইউনিয়নের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, কক্সবাজার পৌরসভার ৪৪টি উন্নয়নমূলক কাজ থেকে ১০ শতাংশ ঘুষগ্রহণসহ সরকারি অর্থ সম্পত্তি আত্মসাৎ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় থেকে বিরত থাকুন
পরবর্তী নিবন্ধপুতিনের মাথায় কী চলছে ধন্দে পশ্চিমা গোয়েন্দারা