কক্সবাজার পৌরসভার লিজ দেয়া জমি দখলের উদ্দেশে লুটপাট, ভাঙচুর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সাবেক মেয়র ও কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌর সচিব রাসেল চৌধুরীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গত মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন কক্সবাজার পৌরসভার পশ্চিম বাহারছড়ার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কক্সবাজার পৌরসাভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, নকশাকার মান্নানুল ইসলাম, এসেসর শিপক কান্তি দে এবং কনজারভেন্সি পরিদর্শক কবির হোসেনসহ অজ্ঞাত ২০/৩০ জন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার পিবিআই পুলিশকে তদন্তভার দিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার সময় লিজকৃত জমিতে অভিযান চালিয়ে বুলডোজার দিয়ে বসতঘর গুঁড়িয়ে দেয়। এসময় আসামিরা বসতঘরের আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। তাদের হামলায় সেখানে বসবাসকারী নারী–পুরুষ ও শিশুরা রক্তাক্ত জখম হয়। সংঘটিত ঘটনার পর ওল্টো নাসিরসহ ২ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। ওই সময় ভুক্তভোগী নাসির থানায় মামলা রুজু করতে চাইলেও মেয়র মুজিবের ক্ষমতার দাপটে তা করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। মেয়রের নির্দেশে ভুক্তভোগী নাসির গং এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি অবশেষে আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামি ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন ও মোবারক আলীকে খালাস এবং মামলা মিথ্যা বলে রায় প্রদান করেন। এতে ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন সংক্ষুব্ধ হয়ে মেয়র মুজিবসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ বিষয়ে মামলার বাদী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন জানান, মূলত জমিটি আত্মসাৎ করতেই তিনিসহ অপরাপর আসামিরা উচ্ছেদের নামে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এর পূর্বেও কয়েকবার উচ্ছেদের পাঁয়তারা করলে আমরা আদালতের আশ্রয় নিয়েছিলাম। আদালত কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষকে জমিতে না যেতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। কিন্তু প্রতাপশালী মুজিব আদালতের সেই নিষেধাজ্ঞার কোনো তোয়াক্কা করেননি।