কক্সবাজারে ২১ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ আজ

উৎসবের নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১১ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের তিন উপজেলার ২১ ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ বৃহস্পতিবার। ইতোমধ্যে নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছেন। তবে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুটি ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় গোলাগুলি ও খুনাখুনির মতো সহিংসতার ঘটনায় ভোটারদের মাঝে তৈরি হয়েছে শংকা। তবে এসব শংকা মাথায় রেখেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানের দিন কয়েকটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, সব শংকা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার শহরের পার্শ্ববর্তী ঝিলংজা ইউনিয়নের লিংকরোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে ২ দিন পর প্রাণ হারিয়েছেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার। একই সময় তার ছোটভাই মেম্বারপ্রার্থী ও বর্তমান মেম্বার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরতউল্লাহ সিকদার গুলিবিদ্ধ হন। সোমবার জহিরুল ইসলামের দাফনের পর ওইদিন রাতেই পার্শ্ববর্তী পিএমখালী ইউনিয়নে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন একজন সদস্য প্রার্থী।
জেলা নির্বাচন অফিসার এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে কঙবাজার জেলার তিন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হবে। যেখানে চেয়ারম্যান পদে ১২৪ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৮৮১ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ২৩২ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। বৃহস্পতিবার অনুষ্টেয় তিন উপজেলার ২১ ইউপির নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছেন ৪ লাখ ৪ হাজার ৯৫২ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ১১ হাজার ৩৪৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬০৫ জন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ২১ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ২০ জন, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৬ জন, জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী ১০ জন, জাসদ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ জন এবং সাধারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫০ জন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলামার ৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১৮ প্রার্থী
পরবর্তী নিবন্ধনাইক্ষ্যংছড়ির ২ ইউপি নির্বাচন ঘিরে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন