সতীর্থ–৭১ এর সারথীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান গত ২৯ এপ্রিল আনন্দঘন পরিবেশে শহরের লাবণী পয়েন্টের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। সতীর্থ–৭১ নির্বাহী পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক মুহম্মদ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সতীর্থ–৭১ এর নির্বাহী পরিষদের সিনিয়র সহ–সভাপতি কবি রুহুল কাদের বাবুল, সহ–সভাপতি অধ্যাপক মকবুল আহমদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনিরুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক আবদুল শুকুর, নির্বাহী সদস্য পেকুয়া সরকারি জিএমসি ইন্সটিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, সাবের আহমদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার শর্মা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ ও মোহাম্মদ আছেম। সদস্যদের মধ্যে মাহে আলম, এডভোকেট মোহাম্মদ আলম, বাংলাদেশ পানচাষী সমিতির সভাপতি সতীর্থ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য পেশ করেন। সভার শুরুতে মোহাম্মদ আছেম পবিত্র কুরআন করিম থেকে তিলাওয়াত করেন। আলোচনায় বক্তারা বলেন, ১৯৯১ সালের এই দিনে কক্সবাজারসহ চট্টগ্রাম উপকূলে শতাব্দির ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বস আঘাত হেনেছিলো। সেই তাণ্ডবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ মারা গেছে। হাজার হাজার কোটি সম্পদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসে সারথীরা অনুষ্ঠানে যোগদান করায় সভাপতি সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সভায় ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিলে নিহত উপকূলের জনগণ, ১৯৭১ সালের মহামুক্তিযুদ্ধের শহিদ এবং সতীর্থ যারা ইতোপূর্বে ইন্তেকাল করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সতীর্থ মোহাম্মদ আছেম।