কক্সবাজারে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে ‘মাদকবিরোধী টাস্কফোর্স’। এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের (রামু ক্যান্টনমেন্ট) জেনারেল কমান্ডিং অফিসার (জিওসি)।
টাস্কফোর্স ইতিমধ্যেই প্রায় ২২ লাখ পিস ইয়াবা, প্রায় দেড় হাজার লিটার বাংলা মদ, ৩৮ কেজি গাঁজা, ৭৩৫ ক্যান বিয়ার ও প্রায় আড়াই কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস) জব্দ করেছে। এই সময়ে ৩৪৭ মাদক কারবারিকে আটক করে মামলা দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক সোমেন মন্ডল। তিনি জানান, চলতি বছরের ১৪ জুলাই কক্সবাজার বিয়াম আঞ্চলিক কেন্দ্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিশেষ সভায় এই টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সোমেন মন্ডল বলেন, কক্সবাজার ও পারিপার্শ্বিক এলাকা দিয়ে মাদক পাচারের যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে তা বিপর্যস্ত ও সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে টাস্কফোর্স কাজ শুরু করেছে। এই টাস্কফোর্স তিনটি ধারায় কাজ করবে। তার মতে, টাস্কফোর্স মাদক চোরাচালান রোধে সামাজিক সচেতনতার বিশেষ গুরুত্বারোপ করে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে মানুষ নিজেরা মাদক গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে। দীর্ঘ মেয়াদে এই সচেতনতা একটি স্থায়ী সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাবে। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে এই প্রেস ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হয়।
১৫ সদস্য বিশিষ্ট এই টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন, আহবায়ক সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল কমান্ডিং অফিসার (জিওসি), সদস্য সচিব কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক সোমেন মন্ডল, সদস্য যথাক্রমে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, কক্সবাজার এফডিএমএনের ডিআইজি, কক্সবাজার এপিবিএনের ডিআইজি, কক্সবাজার ডিজিএফআইয়ের কর্নেল জিএস, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, কক্সবাজার নেভি ফরওয়ার্ড বেইজের কমান্ডার, কক্সবাজার এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক, কক্সবাজারস্থ র্যাব–১৫ অধিনায়ক, কক্সবাজার আনসার ব্যাটালিয়নের (১ বিএন) অধিনায়ক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের চট্টগ্রাম বিসিজি বেইসের অধিনায়ক, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।