কক্সবাজারের তিনটি মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন ও অপর ২ জনের ৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সময়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জজ আবদুল্লাহ আল মামুন এ তিনটি মামলার রায় প্রদান করেন।
এর মধ্যে ইয়াবা পাচারের ২টি মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এরা হল নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার গোলাপপুর এলাকার মৃত নেপাল চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে রিপন চন্দ্র ভৌমিক ও বরিশাল জেলার গৌরনন্দী এলাকার রবিউল মোল্লার ছেলে মো. লাল চান মোল্লা।
চোলাই মদ উদ্ধারের একটি মামলায় ২ জনকে ৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। এরা হল টেকনাফের পুরাতন পল্লান পাড়ার রশিদ আহমদের ছেলে নুর হাকিম ও নুরুল আলমের ছেলে শাহজাহান।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০২১ সালের ৮ মার্চ রামু উপজেলার খুনিয়াপালং চেক পোস্টে ৫৪০০ পিস ইয়াবাসহ আটক হয় রিপন চন্দ্র ভৌমিক। এ ব্যাপারে বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. আবদুর রহিম বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত ২০২২ সালের ১১ মে অভিযোগ গঠন করেন। অপরদিকে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই রামুর পেঁচারদ্বীপের চেকপোস্টে ৯৬৫০ পিস ইয়াবাসহ আটক হয় লালচান মোল্লা। এ ব্যাপারে বিজিবির হাবিলদার মো. আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটির আসামির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৯ মে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। উভয় মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
পিপি জানান, ২০১৯ সালের ৪ মার্চে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের মারিষবুনিয়া এলাকায় ১০০ লিটার চোলাই মদ সহ নুর হাকিম ও শাহজাহানকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে সংস্থাটির উপপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে দায়ের করার মামলাটির অভিযোগ গঠন হয় ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর। মঙ্গলবার এ মামলায় ২ জনের ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মামলার রায় ঘোষণাকালে ৪ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান তিনি।











