কক্সবাজার শহরসহ জেলার উপকূলবর্তী এলাকায় ভূ–গর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নীচে নেমে যাচ্ছে। আর সুপেয় পানির সংকট তীব্র হয়ে ওঠছে। জলবায়ূ পরিবর্তন ও পরিবেশ বিধ্বংসী নানা কর্মকাণ্ডের কারণে অদূর ভবিষ্যতে এ সংকট আরও তীব্রতর হয়ে ওঠতে পারে এবং সুপেয় পানির নিশ্চয়তা হারাতে পারে এখানকার মানুষ। ‘কক্সবাজারের পরিবেশগত অবস্থা মূল্যায়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
গতকাল শনিবার কক্সবাজার সাগরপাড়ের এক হোটেলে গ্রীন কঙবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন এবং ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত কর্মশালায় বক্তারা সতর্ক করে বলেন, কক্সবাজার শহর ও শহরতলীর একাংশে নলকূপের পানিতে সহনীয় মাত্রার অতিরিক্ত লবণ ও তেজস্ক্রিয় পদার্থের
অস্তিত্ব ধরা পড়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি করছে। নানা উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে স্থানীয়রা বাস্তুচ্যুত হয়ে নতুন বাস্তুতন্ত্রের বাসিন্দা হতে বাধ্য হচ্ছে। গ্রীণ কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন এবং বাপা জেলা সভাপতি সাংবাদিক ফজলুল কাদের চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায়
প্রধান অতিথি ছিলেন ‘ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ’ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। কর্মশালায় কক্সবাজারের পরিবেশ বিষয়ক পরিস্থিতি মূল্যায়ন সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ‘ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ’ এর ব্যবস্থাপক ও পরিবেশবিদ ইকবাল ফারুক।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ’ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিবেশবিদ শরীফ জামিল বলেন, এ সংকটগুলো সমাধানের জন্য খুব শীঘ্রই একটি প্রতিবেদন সরকারের কাছে উপস্থাপন করা হবে। সে সাথে একটি সুপারিশমালাও তুলে ধরা হবে। সভায় জেলা বাপা সহ–সভাপতি এইচএম এরশাদ, ফরিদুল আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম নজরুলসহ বাপার জেলা ও উপজেলা শাখার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।