দিন দিন এসব গাছ গাছালি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আগে হাঁটতে চলতে ঔষধি বৃক্ষ চোখে পড়লেও এখন তেমন দেখা যায় না। বনভূমি ধ্বংস করে আবাসস্থল তৈরি করায় ঝোপঝাড় লতাগুল্ম ছোট উদ্ভিদগুলো বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিসিন্দা, গ্যারন (ভেন্না), সটি, ভাঁটফুল, কন্টিকারি, আকন্দ, কানাই লতা, কালোকেশী, বাসক ভৃঙ্গরাজ, আমরুল লতা, পিপুল লতা এ জাতীয় আরো অসংখ্য উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এ সকল উদ্ভিদের পাতা কাণ্ড মূল বিভিন্ন রোগ ব্যাধি নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে নগরায়ণ সম্প্রসারণে বিস্তীর্ণ ভূমি এবং চারপাশের জায়গা সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে যার কারণে এসব উদ্ভিদ জন্মানোর সুযোগ পাচ্ছে না। শহরাঞ্চলে এসব উদ্ভিদ নেই বললেই চলে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় লতাগুল্ম, ঔষধি উদ্ভিদ সুরক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশের আঙ্গিনায়, পুকুরপাড়, ভিটাভূমিতে ভেষজ উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষকে জাতীয় প্রচার মাধ্যমে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার।
সুকান্ত দেবনাথ
নাসিরাবাদ,
চট্টগ্রাম।