নিম্ন আদালতে স্থগিত হওয়া বন্দুকযুদ্ধে চন্দনাইশের ২ ভাইকে হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপসহ পুলিশের বিরুদ্ধে করা মামলাটির নথি তলব করেছেন দায়রা আদালত।
গতকাল জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন আলোচিত এ মামলাটির নথি তলব করেছেন। মামলাটির আইনী সহায়তা দেয়া আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান আজাদীকে বলেন, বুধবার মামলাটির স্থগিতাদেশের চ্যালেঞ্জ করে দায়রা আদালতে একটি রিভিশন দায়ের করা হয়। নিহতদের বোন মামলার বাদী রিনাত সুলতানা শাহীনের পক্ষে হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন এ রিভিশন (১৩৪/২১) দায়ের করে।
এসময় আদালত রিভিশন গ্রহণপূর্বক নিম্ন আদালতের মামলাটির নথি তলব করেন। একই সাথে আগামী ১৩ এপ্রিল পরবর্তী ধার্য্য তারিখে মামলার নথিসহ শুনানির জন্য রেখেছেন। গতবছর ১৬ জুলাই টেকনাফে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন চন্দনাইশের বাসিন্দা বাহরাইন ফেরত প্রবাসী আজাদুল ইসলাম আজাদ (২৩) ও আমানুল ইসলাম ফারুক (৩৭) নামে ২ ভাই। নিহতদের মাদক কারবারী উল্লেখ করে টেকনাফ পুলিশ সেই সময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানায়। গত ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আাদালতে মেজর সিনহা হত্যায় অভিযুক্ত টেকনাফে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন নিহতের বোন রিনাত সুলতানা। মামলার আরজিতে অভিযোগ আনা হয়, ওসি প্রদীপসহ অন্য আসামিরা চন্দনাইশ পুলিশের সহায়তায় দুই ভাইকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়। পরে ৮ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে তাদের মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়। গতবছর ২৩ নভেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াছমিনের আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি ২০৫ এর ডি ধারায় মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন।এর আগে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি ও কঙবাজার জেলা এসপি পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করে। গত ১০ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে মামলার তারিখ নির্ধারণ ও টেকনাফ থানা হতে কথিত হত্যা মামলার রিপোর্ট তলবের আবেদন করলে তা খারিজ করে দেয়া হয়।