ওএমএসের চাল আটা পাওয়া যাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত

নগরে প্রতিদিন ৩৩ পয়েন্টে চাল ও ১৯ পয়েন্টে আটা বিক্রি হচ্ছে

শুকলাল দাশ | শনিবার , ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার খোলা বাজারে (ওএমএস) ৩৩ পয়েন্টে প্রতিদিন সাড়ে ৫৬ মেট্রিক টন চাল এবং ১৯ পয়েন্টে ১৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। চলমান এই কর্মসূচি চলবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। ডিসেম্বরের পরে আবার এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন নগরীতে সাড়ে ১১ হাজার ক্রেতার মাঝে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন চাল এবং ১৯টি পয়েন্টে প্রায় ৪ হাজার ক্রেতার মাঝে ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি করে ১৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করছে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর। একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ৮শ জন ক্রেতার মাঝে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি করে ৫৪ মেট্রিকটন চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

নগরী ও জেলায় প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও আটা বিক্রি করা হলেও কিছু কিছু পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে চাল ও আটার পরিমাণ থেকে ক্রেতা বেশি। ট্রাকের পয়েন্টগুলোতে সকাল থেকে সাধারণ ক্রেতাদের দীর্ঘ ভিড়।

চাল ও আটার বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় যে চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকায় ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছে সেই চাল খোলা বাজারে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। অপরদিকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ২৪ টাকার আট খোলা বাজারে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারমূল্য থেকে অর্ধেকের চেয়েও কম দামে ভালো মানের চাল ও আটা ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে বলে জানান ডিলাররা।

চট্টগ্রাম থেকে সদ্য বিদায়ী খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, ন্যায্যমূল্যের চলমান বিশেষ ওএমএসের চাল এবং আটা বিক্রি কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। ডিসেম্বরের পরে আবার এই কর্মসূচি চলমান থাকতে পারে।

জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় নগরীতে ১৪টি ট্রাকের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন করে। পাশাপাশি নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে নগরীর ১৯টি পয়েন্টে দোকানে দেড় মেট্রিক টন করে চাল এবং ১ মেট্রিক টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা খোলা ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল কিনতে পারছেন। এছাড়া ডিলারের দোকান থেকে ৩০ টাকা করে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা করে ৫ কেজি আটা কিনতে পারছেন। এই কার্যক্রম আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। একই কর্মসূচি পৌরসভা এবং উপজেলাগুলোতেও চলমান আছে।

সরেজমিনে নগরীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা গেছে, ওএমএস কর্মসূচির চাল ও আটা কিনতে মানুষের অপেক্ষা শুরু হয় ভোর থেকে। দিন দিন খোলা ট্রাকগুলোর সামনে গরিব ও সাধারণ মানুষের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছেন। প্রতিটি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন (২ হাজার কেজি) চাল বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল নিলে প্রতি ট্রাক থেকে ৪শ জন ক্রেতা চাল পাচ্ছেন। তারপরও কিছু কিছু মানুষকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্রলীগের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশনা
পরবর্তী নিবন্ধউন্নয়ন না দেখলে ১০ টাকার টিকেটে চোখের চিকিৎসা নেন