ঐক্যবদ্ধ হয়ে না দাঁড়ালে সামনে বিপর্যয়

সচেতন নাগরিক সমাজের সমাবেশে রানা দাশগুপ্ত

| মঙ্গলবার , ৮ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ

মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে ব্যর্থ হলে ‘বিপর্যয় অনিবার্য’ বলে মন্তব্য করেছেন রানা দাশগুপ্ত। ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও শিল্পবিরোধী সামপ্রদায়িকতা গোষ্ঠীর অপতৎপরতা রুখে দাঁড়ান’ স্লোগান নিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ ও সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মী, চট্টগ্রাম আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে হানাদারের এদেশীয় দালালদের আনুষ্ঠানিক পরাজয় হয়েছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এই পরাজিত শক্তির রাজনীতিকে নির্মূল করা হয়নি। দীর্ঘ ৫০ বছরে রাজনীতিতে অবস্থান নিয়ে নানা কূটচালে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে তারা তৎপর রয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরে আজ সেই কাজটি করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। রাষ্ট্র ও রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত হয়ে, প্রশ্রয় পেয়ে সামপ্রদায়িকতাকে-মৌলবাদীতাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হাত দেওয়ার যে স্পর্ধা দেখিয়েছে, তা কোনোভাবেই বাঙালি জাতি মেনে নিতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ৭১ এর মতো ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতেই হবে। যদি দাঁড়াতে ব্যর্থ হই তাহলে বিপর্যয় অনিবার্য। খবর বিডিনিউজের।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত ১৯৯১-৯২, ২০০১-০৬ সালে সামপ্রদায়িক সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরে রামু, কুমিল্লার মুরাদনগরের সামপ্রদায়িক সন্ত্রাসের সামপ্রতিক ঘটনার কথাও বলেন। সমাবেশে কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, এবারে চিহ্নিত ধর্মবিরোধী, ধর্ম ব্যবসায়ীদের অবিলম্বে রুখে দাঁড়াতে হবে।
আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, অধ্যাপক হোসাইন কবির, উদীচী চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শীলা দাশগুপ্ত, রোজী সেন, ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়সী রায় প্রমুখ। সমাবেশে সম্মিলিত আবৃত্তি পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ‘কন্ঠনীড়’সহ বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআকবরশাহ এলাকার মীম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা আজ
পরবর্তী নিবন্ধচঞ্চলের ‘তাকদীর’