আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা। গত বছরের চেয়ে স্কুলের সংখ্যা বাড়লেও এবার প্রায় দশ হাজার পরীক্ষার্থী কমে গেছে। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন পাঁচ জেলার প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে। এবারও ছাত্রীর সংখ্যা ছাত্রের তুলনায় উল্লেখ করার মতো বেশি। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলী বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। করোনাকালের পরিস্থিতি কাটিয়ে পূর্বের ধারাবাহিকতায় যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের এবারই প্রথম পদক্ষেপ বলে সূত্র জানিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন ২১৯টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। গতবছর এই সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৬৯ জন। চলতি বছর গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থী কমেছে ৯ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর মোট ১ হাজার ১০৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছিল। এবার ১ হাজার ১২৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ২১৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এবার চট্টগ্রামের বিদ্যালয়গুলো থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১৬ হাজার ৮০৩ জন ছাত্র এবং ১৮ হাজার ৬৭১ জন ছাত্রী, মানবিক বিভাগ থেকে ১৬ হাজার ২৩৭ জন ছাত্র এবং ৩৫ হাজার ৩৯২ জন ছাত্রী, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৩০ হাজার ৬৬৪ জন ছাত্র এবং ২৭ হাজার ৮২৩ জন ছাত্রী মিলে সর্বমোট ৬৩ হাজার ৭০৪ জন ছাত্র এবং ৮১ হাজার ৮৮৬ জন ছাত্রী মিলে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় ১ লাখ ৩৪৫ জন, কক্সবাজার জেলায় ২২ হাজার ৯৭৮ জন, রাঙামাটি জেলায় ৮ হাজার ২৪৬ জন, খাগড়াছড়ি জেলায় ৯ হাজার ৪০৬ জন এবং বান্দরবান জেলায় ৪ হাজার ৬১৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। গতবছর এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্রের সংখ্যা ছিল ৬৮ হাজার ২৭০ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮৬ হাজার ৪৯৯ জন। গত বছরের মতো এবারও ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা ১৮ হাজার ১৮২ জন বেশি। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, করোনাকালে এলোমেলো হয়ে যাওয়া সময়সূচি ঠিকঠাক করে এ বছর থেকে পূর্বের মতো ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতবছর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৩০ এপ্রিল থেকে। আগামী বছর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসেই এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত রয়েছে বলেও তারা জানান। পরীক্ষা গ্রহণের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে জানান তারা।