অতি ঝুঁকিপূর্ণ লালখান বাজারের এ কে খান পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় অসংখ্য স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী ৪৭টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানের প্রথমদিকে এসব বাসিন্দারা উচ্ছেদ কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তা সম্ভব হয়নি। একে একে সবাই পাহাড় থেকে তাদের আসবাসপত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হন। ৮০ জন শ্রমিকের সাহায্যে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, পিডিবি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাট্টলী সার্কেলের (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনামুল হাছান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা আফরোজ।
উচ্ছেদকৃত অধিকাংশ স্থাপনাই টিনের তৈরি ঘর উল্লেখ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনামুল হাছান আজাদীকে জানান, বর্ষাকালে পাহাড় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। আশংকা থাকে হতাহতের। এসব বিষয়কে মাথায় নিয়ে পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত ১৪ জুন বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড থেকে ৩৭০ বসতিকে উচ্ছেদ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লালখান বাজারের এ কে খান পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ করা হয় ৪৭টি পরিবারকে। ফের যাতে পাহাড়টিতে কেউ বসতি স্থাপন না করে সে জন্য কঠোর হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। এ কে খান পাহাড়ের ভেতরে আরও অনেকগুলো পরিবারের বসতি রয়েছে উল্লেখ করে ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, যেসব বসতি অতি ঝুঁকিপূর্ণ সেগুলোকে আমরা উচ্ছেদ করেছি।