এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের দুই ছেলে ও তাদের ‘সহায়তাকারী’ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক সদস্যের ‘অবৈধ’ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান এবং ‘জ্ঞাত আয়বর্হিভূত’ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য দুদকে আবেদন করেছেন এক আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সুলতান মাহমুদ গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর এ আবেদন করেন। খবর বিডিনিউজের।
অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পরও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ অবৈধভাবে কোটি টাকা গ্রহণ করে মোহাম্মদ সাইফুল আলমের (এস আলম) দুই ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির জ্ঞাত আয়বর্হিভূত ৫০০ কোটি কালো টাকা সাদা করেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করলে দিতে হয় ১০ শতাংশ হারে ৫০ কোটি টাকা, আর নির্দিষ্ট সময় পার হলে দিত হয় ২৫ শতাংশ। কিন্তু এরা নির্দিষ্ট সময়ের পর দিলেও ১০ শতাংশ হারে ৫০০ কোটি টাকায় দিয়েছেন ৫০ কোটি টাকা, অথচ দিতে হয় ২৫ শতাংশ হারে ১২৫ কোটি টাকা। সুলতান মাহমুদের অভিযোগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ ‘ঘুষ নিয়ে’ এ কাজ করেছেন।
দুদকে জমা দেওয়া আবেদনে তিনি বলেছেন, তাই জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অনিয়ম করে কালো টাকা সাদা করায় এ তিনজনের নামে মামলা দায়েরের আবেদন করেছি। এ অভিযোগের বিষয়ে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহি বা এনবিআর সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।