ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এস আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন গতকাল মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মামলার আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, অপরাধমূলক অসদাচরণ, জাল–জালিয়াতি, প্রতারণার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ টাকা (মুনাফাসহ ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৮ টাকা) আত্মসাতসহ বিনিয়োগকৃত অর্থের প্রকৃত উৎস ও প্রকৃতি গোপন করার জন্য হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মানিলন্ডারিং অপরাধ করেছে। খবর বাসসের।
মামলায় বাকি আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সেষ্ণুরি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও চেয়ারম্যান (ইসি কমিটি) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমদ, সাবেক পরিচালক কামরুল হাসান, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মোহাম্মাদ সালেহ জহুর, সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান, সাবেক পরিচালক ফসিউল আলম, সাবেক সদস্য (ইসি কমিটি) আবু সাইদ মোহাম্মদ কাশেম, সাবেক পরিচালক ও সদস্য (ইসি কমিটি) জামাল মোস্তফা চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব উল আলম, সাবেক ডিএমডি (আইঅ্যান্ডসিটিডব্লিউ) তাহের আহমেদ চৌধুরী, ডিএমডি (আইবিডব্লিউ) হাসনে আলম ও ডিএমডি (আরআইডব্লিউ) আব্দুল জব্বার।
সদস্য (ইনভেস্টমেন্ট কমিটি) সিদ্দিকুর রহমান, এ এ এম হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, ওমর ফারুক খান, সদস্য (আইসি–১), অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক ডিএমডি (সিআরও) মোহাম্মদ আলী, সাবেক ডিএমডি (সিএইচআরও) মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সাবেক এসইভিপি (বর্তমানে এএমডি ও সদস্য, আইসি–১) আলতাফ হোসেন ও সাবেক ডিএমডি (আইটিডব্লিউ) মোহাম্মদ সাব্বির, এসইভিপি, সিআইডব্লিও–২ ও সদস্য সচিব বিনিয়োগ কমিটি–১ জি এম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, সাবেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিন, সাবেক এসইভিপি (আইএম ডব্লিউ) ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি–১ মোহাম্মদ উল্লাহ, সাবেক ডিএমডি ও সদস্য, আইসি–১ আবুল ফাইয়াজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক এসইভিপি, বর্তমানে উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আইটিডব্লিও ও সদস্য আইসি–১ মো. রফিকুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিনিয়োগ প্রশাসন বিভাগের (আইএডি) প্রধান ও সদস্য, বিনিয়োগ কমিটি–১ মো. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক উপ–ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চুক্তি ভিত্তিক) ও সদস্য, আইসি–১ কাজী মো. রেজাউল করিম, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট বিভাগ, বর্তমান পদবী এঙিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হানের নামও আসামির তালিকায় রয়েছে।
মামলায় ব্যাংকটির অ্যাসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মনজুর হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা প্রধান মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, এসএভিপি (কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন, সিআইডি–১) মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, দুলারি এন্টারপ্রাইজ প্রোপাইটর ছাদেকুর রহমান, মুছা এন্টারপ্রাইজের মুছা চৌধুরী, এমএম কর্পোরেশনের মোহাম্মদ রফিক ও অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউজের এস. এম নেছার উল্লাহকেও বিবাদী করেছে দুদক। একই ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আহসানুল আলমের বিরুদ্ধে এর আগে দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।
